জানা-অজানাটপ লিডনির্বাচন ও রাজনীতিহরিনাকুন্ডু

হরিণাকুন্ডু পৌরপিতা ফারুক হোসেন নির্বাচিত, কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর ,সংঘর্ষ

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরপিতা ফারুক হোসেন নির্বাচিত বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার নির্বাচনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বিছিন্ন সংঘর্ষ। আইন শৃংখলা বাহিনীর গুলি বর্ষন করেছে।আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শুরু হয়। সময়ের তালে তালে ভোট কেন্দ্র গুলোর বাইরে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথসহ পদস্থ কর্মকর্তা দফায় দফায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। কথা বলেন,পুলিশ সুপার মুনতাসিরুর ইসলাম। তিনি বলেন,বিছিন্ন ঘটনা দুই একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপুর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে কোটচাঁদপুর ও হরিণাকুন্ডু েেপৗরসভার নির্বাচন। রির্টানিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান জানান, ভোট গ্রহনের ব্ষিয়ে কোন প্রার্থী এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেননি।

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মান্দারতলা-জোড়া পুকুরিয়া কেন্দ্রে র্দুবৃত্তরা হামলা চালায়। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: আল-আমিন জানান,হঠাৎ করে বিপুল সংখ্যক র্দুবৃত্ত লাঠিসোটা রামদা ঢাল ভেলা নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং ব্যালট বাক্স ভাংচুর শুরু করে দেয়। তিনি আরো জানান, হামলাকারিরা দুইটি ব্যালট বাক্স ভাংচুর করে এবং ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে। নৌকাপ্রতীকের এজেন্ট হরিনাকুন্ডু পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: সাগর হোসেনকে বুথের ভিতরেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে দ্রæত উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুন্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । পরে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হামলাকারিদের তান্ডবে কিছু সময়ের জন্য ভোট গ্রহন বন্ধ করে দেন তিনি।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বার্হী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, হঠাৎ করে হামলার কারণে হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা। এরপর বিজিবি র‌্যাব পুলিশ দ্রæত সেখানে এসে হাজির হয়। তিনি দাবি করেন কিছু পরে ফের ভোট গ্রহন শুরু করেন তারা। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে সংর্ঘষ ভোট কেন্দ্রে আসপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ভোট কেন্দ্র রক্ষায় ৫/৭ রাউন্ড গুলি বর্ষন করেন আইন শৃংখলাবাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রধান নায়ক কমিশনার প্রার্থী সাইফুল ইসলামসহ ৩/৪জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। ভাংচুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

মান্দারতলা-জোড়াপুকুরিয়া ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন কালে দেখা যায়, একটি বুথের ব্যালট বাক্স গুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। চাপ চাপ রক্ত লেগে আছে মেঝেতে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ব্যালট পেপার সহ কাগজপত্র। কেন্দ্রর দুই পাড়ের খালে ও মান্দারতলা গ্রামে শত শত মানুষ গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। তদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিজিবি ও পুলিশ।
বেলা পোনে দুইটার দিকে চটকাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। আহত হন অন্তত একজন। খবর পেয়ে বিজিবি র‌্যাব অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে ছুটে আসে। শেষ সময় পর্যন্ত এ পৌরসভার সব গুলো ভোট কেন্দ্রের বাইরে ছিল তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

তবে কোটচাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে কোন প্রকার অঘটন ছাড়ায় শেষ হয়েছে। নির্বাচনে বিষয়ে কোন প্রার্থী শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযোগ করেননি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button