নিউজের পর প্রতিবন্ধী স্বাক্ষীর পাশে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক
ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ চোখ-
প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের পাশে দাঁড়ালেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে হুইল চেয়ার প্রদান সহ প্রতিবন্ধি সাক্ষীর পরিবারের সকলের খোজ খবর নেন।
উল্লেখ্য,গত ২৯শে জানুয়ারী রোববার কালীগঞ্জে ২৭ ইঞ্চি উচ্চতা প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুন কে নিয়ে বিভিন্ন পত্র -পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।এ সংবাদটি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুন ব্যপারে তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে খোজ-খবর নেন এবং বুধবার তার কার্যালয়ে আসার আহববান জানান।
এসময় বাড়িতে হাঁস-মুরগী পালনের জন্য পাঁচ হাজার নগদ টাকা ও একটি উন্নতমানের হুয়িল চেয়ার প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের হাতে উপহার হিসাবে দেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।এ এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মি হুমায়ুন কবির সোহাগ বাবুল আক্তার ও সাক্ষীর পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যপারে স্বাক্ষীর পরিবারের সদস্যরা বলেন,জন্ম থেকে দুইটি পা নেই প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের।তার উচ্চতা মাত্র ২৭ ইঞ্চি।
দুইটি হাত দিয়ে চলা-ফেরা করে নিজের প্রয়োজনীয় সব কাজ নিজেই করে থাকেন।
উচ্চতায় কম এবং প্রতিবন্ধী হওয়া সত্তেও তাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান পরিবার ।স্বামী ঠিকমতো খোঁজখবর না নেওয়াই বিয়ের পরেও দরিদ্র কৃষক পিতার সংসারে বোঝা হয়ে রয়ে গেছেন তিনি।গত ৩ মাস আগে জন্ম নেওয়া তার শিশু সন্তানটি বোঝার পাল্লাটাকে যেনো আরো ভারি করেছে। যে কারণে নিজের জীবনের অনাগত দিনগুলো কথা চিন্তা করতেই তার কপালে ভেসে ওঠে চিন্তার ভাঁজ। একটিমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড ছাড়া আর কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতাও মেলেনি কপালে। তাই অনিশ্চয়তা, শংশয় ও সংকটে কাটছিলো প্রতিবন্ধী এই নারীর জীবন।
স্বাক্ষী খাতুন (৩৭) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা উল্লা গ্রামের নুরুল ইসলামের
মেয়ে।জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি অসহায় এই প্রতিবন্ধী মায়ের পাশে এসে দাঁড়ান তাহলে হয়তো আগামী দিনের চলার পথ তাদের সহজ হবে।