জানা-অজানা

পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ ও সর্বোত্তম জায়গা ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় গোরস্থান

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ গোরস্থান । কবে কথন কিভাবে এ গোরস্থানের শুরু তা কিন্তু জানা যায়নি। ঝিনাইদহ পৌরসভা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এ গোরস্থানটি। মুলত ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর এর সর্বোদক্ষিণে যে রাস্তাটি হামদহের দিকে চলে গেল তার ঠিক ডান পাশেই এর অবস্থান। চার পাশে সুন্দর প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত এটি। রাতের বেলা লাইটের সু-ব্যবস্থাও আছে। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের অর্থায়নে গোরস্থানের সামনে রয়েছে একটি ছাউনি। তারও সামনে রয়েছে রড দিয়ে তৈরী একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী।

হাজারো মানুষের কারো মা-বাবা, কারো ভাই-বোন, কারো স্বামী-স্ত্রী, করোবা সন্তান চিরনিদ্রয়ায় শায়ীত রয়েছে এখানে বছরের পর বছর।

এ গোরস্থানে ঢোকার রয়েছে প্রধান ফটক । তারপরও রয়েছে আরে ২টি ফটক গোরস্থানের দুই পাশ দিয়ে। গোরস্থানটি মুলত ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী পাড়া ব্যাপারী পাড়ার মাঝে অবস্থিত। গোরস্থানের সামনের ফটকে যে ছাউনী আছে সেখানে নিয়মিত জানাযা পড়া হয়। গোরস্থানের ভেতরেও আছে জানাযা পড়ার সু-ব্যবস্থা। এর বাইরে রাস্তার পাশে রয়েছে সুন্দর ওযু খানা।

গোরস্থানের মধ্যে রয়েছে পাকা রাস্তা। যেখান দিয়ে আপনি খুব সহজেই যে কারো প্রিয়জনের কবরের পাশে যেতে পারবে।

গোরস্থানে খুব পুরাতন কিছু কবরও আছে। সেই সাথে চলছে নিয়মিত নতুন কবর। তবে এই গোরস্থানের জায়গা সংকট এখন খুব বেশী দেখা যাচ্ছে। সে কারনে অনেক পুরতান কবরের উপরেই হচ্ছে নতুন কবর। গোরস্থানের জায়গা বাড়ানো এখন সময়ের দাবী।

গোরস্থানের পাশেই রয়েছে সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা। তার পাশে রয়েছে ঝিনাইদহ ঐতিহ্যবাহী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এর সামনে রয়েছে বেশ কিছু মার্কেট। সেখানে সবধরনের প্রয়োজনীয় জিনিষ পাওয়া যায়। গোরস্থানের সামনে দিয়ে চলে গেল ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী আদর্শপাড়ায় ঢোকার দুইট রাস্তা। আর এর পাশে দিয়ে গা ঘেষে চলে গেছে ব্যাপরী পাড়া ঢোকার রাস্তাটি।

গোরস্থানের সমনেই চক্ষু শিবির ক্যাম্প । আরো রয়েছে সূর্যের হাসি ক্লিনিক। রয়েছে কৃষি বিভাগের হর্টিকালচার বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদ্পরও রয়েছে এর ঠিক সামনে। তার পাশেই রয়েছে জেলা খাদ্য গুদাম ও রোডস এন্ড হাইওয়ে বিভাগ।

ঝিনাইদহ গোরস্থানের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বিভিন্ন ধরনের পুরোন গাছ। যেগুলো গোরস্থানটিকে ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছে বছরের পর বছর। সেখানে সব ধরনের পাখি আসে। সবসময় পাকিদের কিচির মিচির লেগেই থাকে। পাখিদের আবাসস্থল গড়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন গাছে হাড়ি বাধা। যা পাখিদের করেছে আরো নিরাপদ।

ঝিনাইদহ গোরস্থানের পাশেই রয়েছে ব্যতিক্রমী এক দোকান নাম তার শেষ বিদায়। যেখানে আগরবাতি থেকে শুরু করে একজন মুর্দাকে কবরস্থ করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই পাওয়া যায়। দোকানটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে সপ্তাহে ৭ দিন।

ঝিনাইদহ গোরস্থান জেলাবাসীর গর্বের জায়গা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button