মহেশপুর

মাঘের শীত উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ মহেশপুরে কৃষকরা মাঠে

ঝিনাইদহের চোখ-
হাড়কাপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে উঠে কাদা মাঠে নেমেছেন গ্রাম বাংলার কৃষকরা। শীত সব সময় তাদের কাছেই যেন হার মানে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বোরো ধান রোপনের ধুম পড়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ১৮০৪৫ হেক্টর ধরা হয়েছে। তবে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সরিষা,মসুর ও গম আবাদ কম হওয়ার কারণে চাষিরা বোরো আবাদে ঝুকেছেন। যার ফলে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে বলে ধারনা করছেন।

সরজমিনে মহেশপুর পৌর এলাকার পাতিবিলা,শ্রীরামপুর,শংকরহুদা,কালুহুদার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে,ভোর বেলায় প্রচন্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেধে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন। কৃষক হযরত আলী বলেন,শীতের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবেনা, আমরা এসময়ে বসে থাকলে পরিবার ও দেশের মানুষের পেটে ভাত জুটবে কিভাবে। অন্য এক কৃষক আবু কাশেম বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কি। পৌর এলাকার পোলের মাঠের দিকে মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে যাচ্ছিলেন ইন্তা ও মোস্তফা নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, শুনেছি মাঘের শীতে নাকি বাঘ কাপে। মাঘের শীত শুরু হয়ে গেছে। বিকাল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতে টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশ বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। তারা আরও বলেন প্রাকৃতিক বির্যয়ের সম্মুখীন না হলে ক-দিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত। তার পর সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button