কালীগঞ্জ

কালীগঞ্জ সাবেক চেয়ারম্যান জয়নালের কান্ড!

ফিরোজ আহম্মেদ, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে সরকারি গাছের টেন্ডারের সাথে সাধারন মানুষের গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বলিদাপাড়া-দুলাল মুন্দিয়া মাঝে রাস্তার পাশে এই গাছ কর্তন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর- ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ থেকে বারবাজার মান্দার তলা পর্যন্ত বন বিভাগের লাটের গাছ টেন্ডার পেয়েছে কোটচাঁদপুরের শাজাহান নামের এক ঠিকাদার। তার নিকট হতে সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনের ভাইপো ইমান আলী ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাভ দিয়ে মৌখিক ভাবে ৮টি লট ক্রয় করেন। এই মহাসড়কের লাটের গাছ গুলির ছাল উঠিয়ে মার্কিন করা থাকে। কিন্তু গাছ কর্তনের সময় চাচা জয়নাল ও ইসলাম কে মহাসড়কের গাছ কর্তন ও বিক্রয়ের দায়িত্ব দেয় ইমান আলী। কিন্তু তারা আইন না মেনে সাধারণ মানুষের ভয় ভীতি দেখিয়ে ছাল উঠানো মার্কিন ছাড়াও ব্যক্তিগত ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন করেন। আর এতে ক্ষিপ্ত হন এলাকা সাধারণ মানুষ।

বলিদা পাড়া গ্রামের মৃত মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী বৃদ্ধা শামসুন নাহার জানান, আমার নিজ হাতে লাগানো কাঁঠাল গাছ, আতাগাছসহ চারটি ফলজগাছ কেটে নিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গাছগুলি ছিল আমার শেষ সম্বল। ২২ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন তার। খুব কষ্ট করে দিনোপথ চলে তার।

একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আন্জুরা বেগম জানান, আমার ৪টি ধরতো কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল ও তার ভাই ইসলাম। এছাড়া ওই গ্রামের ৬জনের প্রায় ৩০টি ফলজ গাছ কর্তন করা হয়েছে। আর ছোট গাছগুলি না কাটা অনুরোধ করলে তাদের কাছ থেকে নগদ ৫শ টাকারও দাবী করেন তারা।

এব্যাপারে কালীগঞ্জ ভূমি অফিসের পৌর ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল টেন্ডার বাদেও সাধারন মানুষের লাগানো কিছু গাছ কর্তন করেছেন । কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব স্যারের নির্দেশে তিনটি কর্তনকৃত কাঠাল গাছ জদ্ব করা হয়েছে। যে গাছ গুলি আসলে কর্তন করার উপযোগি নয়।

কোটচাঁদপুর রেঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার শাহাজান প্রতিনিধি হিসাবে জয়নাল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে বন বিভাগের গাছ ছাড়া অন্য কেনো গাছের পাতা কাটাও আইন বিরোধী এবং চরম অন্যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button