কালীগঞ্জজানা-অজানাটপ লিড

যাত্রী দুর্ভোগ কমছেই না ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে (ভিডিও)

ঝিনাইদহের চোখঃ

স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন কিন্তু লোকবল সংকটসহ নানা সমস্যার জর্জরিত মোবারকগনজ স্টেশন। রাতে এসব স্টেশনে বাড়ছে মাদককারবারী ও সেবীদের আনাগোনা। বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মত অপরাধ। গেটম্যান না থাকায় অরক্ষিত রেল ক্রসিংগুলোতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে তাঁজা প্রাণ স্বাধীনতার সূচিকাগার ঝিনাইদহ জেলা ।ওই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়,ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির নির্দেশে মূলত বাংলাদেশে রেলওয়ে কার্যক্রম শুর হয় ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে। সে সময় ঝিনাইদহ জলা কুষ্টিযা জেলার জগতী পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপিত হয়। ১৮৯৭ সালে সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয় সেকশনটি। আর রেল ক্রসিং এর বেশির ভাগ জায়গায় নেই গেট ও গেটম্যান। ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

খুলনা ও যশোরের রেলপথ কলকাতার সাথে সংযুক্ত হয় ১৮৮৪ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯১৪ সালে যশোর হতে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ২৮ মাইল ব্রডগেজ রেললাইন নির্মিত হয়। বর্তমান দুরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। সেসময় চিনি শিল্প গড়ে ওঠে কালীগনজ মোবারকগঞ্জে। তাই কৃষকসহ সকলের সুবিধার্থে ৮ মাইল রেললাইন সম্প্রসারণ করা হয় কোটচাদপুরে। ঝিনাইদহে মোট ৫ টি ষ্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার. মোবারকগঞ্জ, সুন্দরপুর, সাফদারপুর, ও কোটচাদপুর। মাত্র তিন জন নিয়ে চলছে মোবারকগঞ্জ স্টেশন । লোকবল সংকটে ভুগছেন স্টেশনটি ।

ট্রেন কখন আসবে তা জানতে পারেন না যাত্রীরা। এতে ট্রেনে যাতায়াত ও টিকিট কাটা নিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার কিন্তু এসব স্টেশনে কেউ নেই। এ কারণে রাতের বেলা ট্রেনের চালককে সংকেত দেওয়া, যাত্রীদের সহায়তা করা ও টিকিট সরবরাহের কাজ বন্ধ রয়েছে। কম্পিউটার অভাবে অনলাইনে টিকিট বিক্রিয় এখন চালু করা হয়নি ।

খুলনাগামী যাত্রী পিন্টু বলেন, সকাল ৯ টার ট্রেন বেলা ১১ টার আসেন আমাদের গন্তব্য যেতে দূভোগ পোহাতে হয় । জনবল না থাকায় রাতে এসব স্টেশনে বাড়ছে মাদককারবারী ও সেবীদের আনাগোনা। বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মত অপরাধ। হচ্ছে অনৈতিক কাজও। বিশ্রামাগার বন্ধ থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন যাত্রীরা। অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন স্টেশনে যাত্রী সেবার মান নিম্নমুখী হওয়ায় রেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা ।

স্টেশন এলাকার বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, অধিকাংশ রেলগেটে গেট ম্যান না থাকায় প্রায় ঘটে ছোটবড় প্রাণহানী দূর্ঘটনা ।

এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাদাত বলেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button