অন্যান্য

ভয়াবহ অবস্থা, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আরো ১২ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হবে

#ঝিনাইদহের চোখঃ

র্তমান বিশ্ব ভয়াবহভাবে জলবায়ু বৈষ্যমের শিকার হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ধনীরা তাদের ক্ষমতাবলে নিজেদের সুরক্ষা করছেন, অন্যদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠি আরো পেছনে পড়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদলের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দশকে অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আরো ১২ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হবেন।

জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টার ফিলিপ আলসস্টোন বলেন, ‘আমরা জলবায়ু বৈষ্যমের ঝুঁকিতে পড়েছি, যেখানে ধনীরা অর্থ দ্বারা তাপদাহ, ক্ষুধা ও সংর্ঘষ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে নিচ্ছেন অন্যদিকে বিশ্বের বাকি জনগোষ্ঠি এর চরম ভুক্তভোগী হচ্ছেন।’

প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের ৭৫ ভাগ শিকার হবে উন্নয়নশীল দেশগুলো, যেখানে তারা মাত্র ১০ ভাগেরও কম কার্বন নিঃসরণ করে। আবহাওয়ার চরম বিপর্যয় বন্যা, খরা, হারিকেনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরো বৃদ্ধি করবে। এরফলে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে হয় অনাহার কিংবা দেশান্তর একটি বেছে নিতে হবে। আর্লস্টোন বলেন, ‘এর ফলে সাব-সাহারা আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার ১৪ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবেন।’

জাতিসংঘ সতর্ক করে আরো বলেছে, ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরিত বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগীদের সুরক্ষায় যথেষ্ট নয়। যদিও জাতিসংঘসহ পরিবেশবাদী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না।

গত সপ্তাহে ইউরোপিয় ইউনিয়ন শূন্য কার্বন নিঃসরণ চুক্তিতে আসার সীমারেখা অতিক্রম করে ফেলেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন।

জি-২০ ভুক্ত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে কিছুটা সরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যদি বিশ্ব ব্যর্থ হয় তবে জলবায়ু পরিবর্তনে চরভাবে বিপর্যস্ত হবে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের মতো মৌলিক মানবাধিকার।

ইতোমধ্যেই এই জলবায়ু বৈষম্য প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব। ২০১২ সালে নিউইয়র্কে হ্যারিকেনে শতশত নিম্ন আয়ের ব্যক্তি কয়েকদিন যাব বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েন। অন্যদিকে ম্যানহাটনের গ্লোল্ডম্যান স্যাক হেডকোয়ার্টার শতশত বালির বস্তার বাঁধ ও ব্যক্তিগত জেনারেটর দ্বারা নিজেদের সুরক্ষা করে। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দরিদ্র দেশগুলো আরো দরিদ্র হবে, বিশ্বব্যাপী এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের বৈষম্য বাড়বে।

সিএনএ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button