মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা-বাকোসপোতা সড়কে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় সড়কের মধ্যে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মৃত ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারি চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগের এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিন বাঘাডাঙ্গা, নেপাসহ ২৪-২৫টি গ্রামের লোকজন এ সড়ক দিয়ে অতিকষ্টের সাথে চলাচল করছে। এছাড়া ছোট বড় যানবহন বাস, আলমসনাধুসহ দুরপাল্লার পরিবহন সড়কটি দিয়ে চরম ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।
সড়কটি ঠিক কবে কোন সময় পিচঢেলে পাকা করন করা হয়েছে অধিকাংশ লোকজনই ভুলে গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির বিটুমিন, পাথর খোয়া অনেক আগেই উঠে গেছে। বোঝার উপায় নেই পাথর খোয়া আর বিটুমিনের তৈরি সড়ক। সড়কের মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন জায়গায় ইটের গুড়া আর মাটি দিয়ে সংস্কার করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে সড়কের বেগুনতলা এবং ভাষানপোতা বাজারের নিকট সড়কটি ভেঙে চরম ঝুকতে পরিনত হয়েছে। যানবহন চলাচলে সময় সাইড দিতে গেলে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। অল্প সময়েই নষ্ট হচ্ছে যানবহনের যন্ত্রপাতি।
নেপা বাজারের ব্যবসায়িক আব্দুর রশিদ বলেন, বাঘাডাঙ্গা, নেপাসহ মহেশপুর
উপজেলার সাথে যোগাযোগের একটিমাত্র গুরুত্বপূর্ন সড়ক। সড়কটি হাজার হাজার ব্যবসায়ি, কর্মজীবি লোকজন প্রতিদিন মহেশপুর এমনকি কোটচাঁদপুর, কালিগজ্ঞ, যশোর এমনকি ঝিনাইদহ জেলা শহরের সাথে সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন সড়কটি দীর্ঘদিন চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে।
বাস চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০/১৫ মিনিট সময়ের সড়কে ২-৩ ঘন্টা সময়ে পৌছানো সম্ভব হয়না। যাত্রিগন সঠিক সময়ে তাদের লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনা।
দ্রুত গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিনই সড়কে ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটতেই আছে। সড়কটি
সংস্কারের জন্য হাজার হাজার জনসাধারনের প্রানের দাবি হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির আহমেদ বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরা যায় দ্রæতই কাজ শুরু হবে।