কালীগঞ্জ

কালীগঞ্জে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত গরীর ভ্যান চালকের ছেলে বাচঁতে চাই

টিপু সুলতান, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ব্রেন টিউমারে অক্রান্ত পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্র সাদিক (১৪) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচঁনপুর গ্রামের (মধুপুর) পাড়ার দরিদ্র বৃদ্ধ ভ্যান চালক হানিফ মন্ডলের ছেলে, মা সায়েরা খাতুন পরের বাড়িতে করেন ঝি-এর কাজ। দরিদ্র এ পরিবারটি পরের জমিতে ঘর করে বসবাস করেন। আজ থেকে দেড় বছর পূর্বে সাদিকের প্রায়ই মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা, বমি এবং হাত পায়ে ব্যাথা সহ সমস্থ শিরা উপ শিরাকষে আসতো। প্রথমে তারা গ্রামের ডাক্তারের নিকট সাদিকের চিকিৎসার জন্য নেয়, ২ মাস গ্রামের ডাক্তারের ওষুধ খাওয়ানোর পর কোন পরিবর্তন না হওয়ায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শে খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে এমআরআই, সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরিক্ষার পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ জানাই সাদিক ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। ছেলের ব্রেন টিউমার হয়েছে এ কথা শোনার পর আকাশ ভেঙে মাথায় পড়ার মতো অবস্থা সাদিকের মা বাবার। ডাক্তারগণ আরো জানায় ঢাকায় নিয়ে সাদিকের ব্রেন টিউমার অপারেশন করতে হবে খরচ হবে প্রায় ৫লক্ষ টাকা। যার একদিন ভ্যানে ভাড়া না মারলে সংসারে সবাইকে না খেয়ে উপোষ থাকতে হয়। তার সবকিছু বিক্রয় করলেও যোগাড় হবে না ৫০ হাজার টাকা। ৫লক্ষ টাকা তো দূরের কথা। ছেলের চিকিৎসার জন্য কোথায় পাবে এতো টাকা এই দরিদ্র দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারটি।

সাদিকের ভ্যান চালক পিতা হানিফের বয়সও ৫৫ বছর, তার উপর সে এজমা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। পাড়া প্রতিবেশীরা জানায় ভ্যান চালক হানিফ খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান সে প্রায় চল্লিশ বছর ভ্যানে ভাড়া মেরে অতিকষ্টে ৫ সদস্যের সংসার চালায়। এতোদিন আমরা সবাই গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে সাদিকের চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু ৫লক্ষ টাকার কথা শুনে আমরা খুব চিন্তায় আছি এতো টাকা কোথায় পাবে আর সাদিকের চিকিৎসা হবে কিভাবে? তাহেলে সাদিক কি আমাদের চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় অকালে মারা যাবে? আমরা সাদিকের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান, দানবীর, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। যাতে সবার সাহায্যার্থে চিকিৎসা নিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতে পারে গরীব ভ্যান চালকের ছেলে মেধাবী ছাত্র সাদিক।

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত সাদিকের মা-বাবা কান্নাকাটি করে জানায়, আমরা দূ’জন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বর্তমানে প্রতিদিন ছেলের ওষুধ কিনতে হয় ১ হাজার টাকার। প্রতিদিন ওর বাবা ভ্যানে ভাড়া মেরে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন জনের নিকট হাত পেতে ভিক্ষা করে ছেলের চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে হয়। একদিন ওষুধ না খেলে চোখের সামনে ছেলের কষ্ট দেখা যায় না। বিন্তু এভাবে আর কতোদিন ছেলে বেঁচে থাকবে। মানুষের সাহায্য ছাড়া এখনি ছেলের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না তাহলে মানুষের সাহায্য ছাড়া আমার বুকের মানিকের কিভাবে ব্রেনের টিউমার অপারেশন করবো। আমরা সমাজের বিত্তবান, আমাদের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপরে কালীগঞ্জ উপজেলার ৬নং ত্রিলোচঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা বলেন, এই দরিদ্র ভ্যানচালক হানিফ মন্ডলকে আমি চিনি সে সারা জিবন ভ্যান চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছেন। এখন সে বৃদ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অবস্থায়ও বহু কষ্ট করে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমার সাধ্যমত আমি তাদের পাশে দাড়ায়। এই গরীব ভ্যানচালকের ঘরে রাজকীয় রোগ এটা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার। আমি এই ভ্যান চালকের ছেলে সাদিকের চিকিৎসার জন্য আমাদের সমাজের বৃত্তবান, হৃদয়বান, দানবীর, স্থানীয় সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করছি।

মানুষের মনে আসুক দয়া, আর বেঁচে যাক সাদিকের মতো জীবনঘাতি রোগে আক্রান্ত অসহায় বাবার-মায়ের সন্তানের। সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমতে, সৃষ্টির সেরাজীব মানুষ যেন, মানুষের সহযোগীতায় বেঁচে থাকতে পারে। তাই আমরা চাই আমাদের সহযোগীতায় দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান সাদিক যে অকালে ঝরে না যায়। এমনটি প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী ও ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত সাদিকের পরিবার। সহযোগিতার জন্য বিকাশ নং-০১৩১৫৪৭২৩৮১ ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button