কালীগঞ্জক্যাম্পাসটপ লিড

ঝিনাইদহের শেফা দুশ্চিন্তায় মেডিকেল ভর্তি নিয়ে

ঝিনাইদহের চোখ-

বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করায় অনেক প্রাইভেট পড়তে হয়েছে। স্যাররা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে মানিক স্যার অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অসুস্থ মানিক স্যারের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

মা-বাবার সামর্থ্য নেই। কিন্তু চেষ্টা করেন অসহায় মানুষের পাশে থাকার। আমিও চেষ্টা করব মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।

শেফার বাবা আবদুল মোমিন বলেন, তিনি দর্জির কাজ করেন। সেখান থেকে যা আয় হয় সেটি দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা ও পরিবারের সবার খরচ বহন করি। মেয়েকে ভর্তির জন্য বেশ টাকার প্রয়োজন।

এখন এই টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি মেয়ের ভর্তির জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। শেফাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৪-৬৩৯৯০৬ (শেফার বাবার) এই নম্বরে।

সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনিশ্চয়তায় রয়েছেন শামসুন্নাহার শেফা। শেফা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মো. আবদুল মোমিনের মেয়ে। দারিদ্র্যতার কাছে হার মেনেছে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। শেফার মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তার বাবা ও মা।

শামসুন্নাহার শেফা বলেন, এবার পরীক্ষায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। একজন দক্ষ চিকিৎসক হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব। গরিব ও দুস্থ রোগীদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেব। চেষ্টা করব অসহায় মানুষের পাশে থাকার। বাবা ও মা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তাদের কষ্টের মূল্য দিতে চাই।

শামসুন্নাহার শেফা জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তার স্থান ১৮৮২তম। ২০১৮ সালে সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২০ সালে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button