কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পেতে এই চারটি খাবার কম খান
ঝিনাইদহের চোখ ডেস্কঃ
কিডনির পাথর থেকে – কিডনির পাথর খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের অভাব কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ। আরেকটি কারণ হলো, শরীরে অতিরিক্ত অক্সালেট অথবা ফসফেটের উপস্থিতি।
কিডনির পাথর প্রতিরোধে ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো কিডনির পাথর হওয়ার প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া বা কম খাওয়াই ভালো।কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে, এমন কিছু খাবারের নাম জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. সোডিয়াম
কিডনি ভালো রাখতে লবণ কম খাওয়া ভালো। সোডিয়াম ক্যালসিয়াম তৈরিতে কাজ করে এবং এর আধিক্য হলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাত ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন; খাবারে লবণ কম ব্যব্হার করুন।
২. ভিটামিন সি
ভিটামিন সি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন কিডনির ক্ষতি করতে পারে-কথাটি শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ শরীরের জন্য ভালো।তবে অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া ভালো। তবে এর বেশি ভিটামিন গ্রহণ অক্সালেট তৈরি করতে পারে। আর এ থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৩. সফট ড্রিংক
ঠান্ডা ঠান্ডা সফট ড্রিংক খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে সোডার মধ্যে থাকা ফসফরিক এসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, এতে ফসফেট রয়েছে। আর এটি কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই এই পানীয়টি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৪. প্রাণীজ প্রোটিন
হ্যাঁ, অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন, যেমন, লাল মাংস( গরু, খাসি), সিফুড ইত্যাদি বেশি পরিমাণ খাওয়া কিডনির পাথর তৈরি করতে পারে। এই ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়ায় এবং সাইট্রেটের পরিমাণ কমায়। ইউরিক এসিড কিডনির পাথর তৈরি করতে পারে। তাই কিডনির পাথর প্রতিরোধে এই ধরনের খাবার কম খাওয়াই ভালো।
চা-কফি নয়, সকালে ঘুম থেকে উঠে যে পাঁচটি খাবার খাবেন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি খেতে অভ্যস্ত না এমন বাঙালী খুব কমই আছে। প্রায় সকলেই ঘুম থেকে উঠে সকালে চা নাহলে কফি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এর ফলে তার পরে সারাদিন ক্লান্তি বোধ করেন, ঘুম পায় অসময়ে, কলেজের ক্লাসে বা অফিসের মিটিং-এ মন বসে না। কিন্তু দৈনন্দিন কাজের সময়ে ঘুম পেলে তো সেটা মস্ত বড় সমস্যা, আসুন জেনে নেয়া এর থেকে মুক্তির উপায়।
এটি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বা যারা রোজ অফিসে যায় তাদের জন্য খুব সমস্যার ব্যাপার। সারাদিন ক্লান্তি বা ঘুম পাওয়া কাজের ক্ষেত্রে অনেক বাদার সৃষ্টি করে। তাই আজ আপনাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় বলবো। সারা রাত খালি পেটে থাকার পর সকালে দুধ ও চিনি দিয়ে চা-কফি খেলে সেটি শরীরে গিয়ে অ্যাসিড তৈরী করে। ফলে শরীর অসুস্থ হতে পারে। খিদে মরে যায়, খেতে ইচ্ছা করেনা।এর ফলে সারাদিন খাওয়ার রুচি থাকেনা।আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন তাদের একটি গবেষণা থেকে জানাচ্ছে, সকালে আপনি কি খাবার খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করছে আপনার সারাদিন কেমন কাটবে? ডাক্তাররা বলেন আপনি সকালের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই ৫টি খাবার। তার জন্য আপনাকে চা-কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবেনা। আপনি চা-কফি খান তার সঙ্গে রাখুন এই খাবারগুলি।
আপেল
আপেল সকালে খাওয়ার জন্য খুব উপকারী। প্রতিটা আপেলে ১৩ গ্রাম করে শর্করা থাকে। সকালে একটি করে আপেল খেলে সব কাজে মনোযোগ আসে। এছাড়াও প্রবাদ আছে এই যে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের চৌকাঠ মাড়াতে হয়না।
ডিম
ডিম খুব উপকারী খাদ্য। ডিমে ওমেগা ৩ ও প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন শরীরে এনার্জি বাড়ায়। আপনি রোজ আপনার সকালের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন একটি করে ডিম। আপনি সিদ্ধ, পোচ, অমলেট যেভাবে খুশি সেভাবে খেতে পারেন।মৌসম্বি
মৌসম্বিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। সকালে ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করলে সারাদিন আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। কাজেই ঘুম থেকে উঠে সবার আগেই খেয়ে নিন মৌসম্বির রস।
মধু
আপনি সকালে উঠে খেতে পারেন মধু। মধু আপেলের মতো শর্করাতে পরিপূর্ন। তাছাড়া মধু শীতে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে। সকালে উঠে খেকে পারেন কয়েক চামচ মধু।
ওটমিল
ওটস জিনিসটি এখনো বাঙালীরা খেতে খুব একটা অভ্যস্ত নয়। তবে এই খাবারে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই খাবার খেলে শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে।তাহলে আজ থেকেই বদলে ফেলুন আপনার খাদ্য তালিকা। দেখুন কত সুন্দর আপনার দিন কাটবে।