ধর্ম ও জীবন

আজানের শব্দে লুকিয়ে থাকা রহস্যগুলো

ঝিনাইদহের চোখঃ

মহিমান্বিত কিছু শব্দমালার নাম আজান। এই আজানের ভেতর লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। নিম্নে তার কিছু তুলে ধরা হলো। আজানের শুরু হয় ‘আল্লাহ’ শব্দ দিয়ে। আবার শেষও হয় ‘আল্লাহ’ শব্দ দিয়ে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা বহন করে যে আল্লাহই শুরু, আল্লাহই শেষ। আল্লাহর বিকল্প কিছু হতে পারে না।

পবিত্র কোরআনে আজানের কথা ‘আজ্জানা’ শব্দটি দুইবার, ‘উজ্জিনা’ একবার ও ‘মুয়াজ্জিন’ দুইবার হয়ে মোট পাঁচবার এসেছে। আর মুসলমানদের ওপর ফরজকৃত নামাজের ওয়াক্তের সংখ্যাও ৫।

আজানের শব্দসংখ্যা ৫০— ১. আল্লাহু ২. আকবার ৩. আল্লাহু ৪. আকবার ৫. আল্লাহু ৬. আকবার ৭. আল্লাহু ৮. আকবার ৯. আশহাদু ১০. আন ১১. লা ১২. ইলাহা ১৩. ইল্লা ১৪. আল্লাহ ১৫. আশহাদু ১৬. আন ১৭. লা ১৮. ইলাহা ১৯. ইল্লা ২০. আল্লাহ ২১. আশহাদু ২২. আন্না ২৩. মুহাম্মাদ ২৪. রাসুল ২৫. আল্লাহ (উল্লেখ্য এখানে ‘রাসুল’ শব্দটি ‘আল্লাহ’ শব্দের সঙ্গে সন্ধি হয়ে ‘রাসুলুল্লাহ’ হয়েছে। যার অর্থ, আল্লাহর রাসুল) ২৬. আশহাদু ২৭. আন্না ২৮. মুহাম্মাদ ২৯. রাসুল ৩০. আল্লাহ ৩১. হাইয়া ৩২. আলা ৩৩. সালাহ ৩৪. হাইয়া ৩৫. আলা ৩৬. সালাহ ৩৭. হাইয়া ৩৮. আলা ৩৪. ফালাহ ৪০. হাইয়া ৪১. আলা ৪২. ফালাহ ৪৩. আল্লাহু ৪৪. আকবার ৪৫. আল্লাহু ৪৬. আকবার ৪৭. লা ৪৮. ইলাহা ৪৯. ইল্লা ৫০. আল্লাহ।

মহান আল্লাহ এই উম্মতের ওপরও প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছিলেন। এর আরেকটি ব্যাখ্যা এমনও হতে পারে, যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাকে ১০ গুণ সওয়াব দেওয়া হবে। সুরা আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘কেউ সৎকাজ করলে সে তার ১০ গুণ প্রতিদান পাবে।’

আজানের বাক্যসংখ্যা ১২, আর বছরের মাসের সংখ্যাও ১২। এর দ্বারা বোঝা যায়, মুমিনের জন্য ১২ মাসই নামাজ ফরজ। পুরো আজানের মধ্যে ঘুরেফিরে যে কয়টি অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তার সংখ্যা ১৭—

১. আলিফ ২. লাম ৩. হা ৪. কাফ ৫. বা ৬. র ৭. শিন ৮. দাল ৯. নুন ১০. মিম ১১. হা (বড়) ১২. সিন ১৩. ওয়াও ১৪. ইয়া ১৫. আইন ১৬. ছদ ১৭. ফা।
আর সারা দিনে বান্দার ওপর ফরজকৃত নামাজের রাকাতসংখ্যাও ১৭। যেমন—ফজরের ২, জোহরের ৪, আছরের ৪, মাগরিবের ৩, এশার ৪, (২+৪+৪+৩+৪)=মোট ১৭।

আজানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ‘আল্লাহ’ শব্দ, যার মধ্যে মৌলিক অক্ষরের সংখ্যা তিনটি—১. আলিফ ২. লাম ৩. হা। পুরো আজানের মধ্যে আলিফ অক্ষরটি এসেছে ৪৭ বার, লাম ৪৫ বার, হা ২০ বার। ৪৭+৪৫+২০=১১২। পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরাটি হচ্ছে ইখলাস, যেখানে আল্লাহর একত্ববাদের কথা বলা হয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button