অন্যান্য

দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুতের জন্য এখন আর মানুষকে ছোটাছুটি করতে হয় না। দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এখন আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া।

বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই। সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নতুন ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ কেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৫৭ মেগাওয়াট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো ১২ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। একই সঙ্গে এদিন সাবমেরিন কেবলে সন্দ্বীপে বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে, ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট সিম্পল সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (সিসিপিপি) ও সিরাজগঞ্জে ২৮২ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট উদ্বোধন করা হয়। গ্যাসচালিত এ দুই কেন্দ্রের প্রথমটি নির্মাণ করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। দ্বিতীয় কেন্দ্রটি রাষ্ট্রীয় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিপিজিসিএল) সঙ্গে যৌথভাবে স্থাপন করছে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি সেম্বকর্প।

বেসরকারি উদ্যোক্তাদের তেলচালিত চারটি কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- ওরিয়ন পাওয়ারের খুলনার রূপসায় ১০০ মেগাওয়াট, দেশ এনার্জির চাঁদপুরে ২০০ মেগাওয়াট, মিডল্যান্ড পাওয়ারের আশুগঞ্জে ১৫০ মেগাওয়াট এবং একর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চট্টগ্রামের জুলদায় ১০০ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট।

প্রধানমন্ত্রী নতুন যে ১২ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন। সেগুলো হলো- ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু, ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও কালুখালী, বরগুনার বামনা, হবিগঞ্জের খালাই, শায়েস্তাগঞ্জ, আজমেরীগঞ্জ ও বাহুবল এবং জামালপুরের মেলান্দহ ও ইসলামপুর। এর আগে সরকার ১৮৬টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করার ঘোষণা করেন।

দেশে প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের বিদ্যুৎ সংযোগ শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। বুধবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একই দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে নির্মাণ করা ১২টি গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। ১৩২/৩৩ কিলোভোল্ট লেভেলের এ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও বরিশাল উত্তর, চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট, নীলফামারীর জলঢাকা ও সুনামগঞ্জ, সিলেটের বিয়ানীবাজার, রাঙামাটি এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়ি। এ ছাড়া চট্টগ্রামের ২৩০/১৩২ কেভি উপকেন্দ্রও একই সময়ে উদ্বোধন করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button