জানা-অজানাঝিনাইদহ সদরটপ লিডনির্বাচন ও রাজনীতি

প্রতীক পেলেন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

মনিরুজ্জামান সুমন, ঝিনাইদহের চোখ-
প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা। শুক্রবার সকাল ১০ টায় চার মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। গত বৃহস্পতিবার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে কোন মেয়র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র পত্র প্রত্যাহার করেননি।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীক পেয়েছেন, নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, মোবাইল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম ও হাত পাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হবে।

জেলা নির্বাচন অফিসার আঃ ছালেক জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। পৌর এলাকায় ৪৭টি কেন্দ্র ও ২৬৫টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। তিনজন ম্যজিষ্ট্রেটের তত্বাবধানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

এদিকে একই দিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ও সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুরাট ইউনিয়নে ৪জন ও পাগলাকানাই ইউনিয়নে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। সুরাট ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ১৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৫৯১ ও নারী ভোটার ৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ১০টি। অন্যদিকে পাগলাকানাই ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৪ হাজার ২৭০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৯৬৬ ও নারী ভোটার ৭ হাজার ৩০৪ জন। এই ইউনিয়নে কেন্দ্র সংখ্যা ৯টি।

প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতীক পাওয়ার পরই নেমেছেন প্রচার প্রচারণায়। এদিকে,চারজন মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই রিটার্নিং কর্মকর্তা আঃ ছালেক এর কাছ থেকে একে একে প্রতীক নিয়েছেন কাউন্সিলরসহ দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীরা। প্রতীক পেয়ে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে।

এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আঃ ছালেক বলেন, ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার দরকার তার ব্যবস্থা করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button