অন্যান্য

রান্নায় থাকুক সরিষার তেল

ঝিনাইদহের চোখঃ
সাধারণত তেলেভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় হৃদরোগের সম্ভবনাকে দূরে রাখার জন্য।

যেকোন ধরণের তেলেভাজা খাবারে তেলের আধিক্য হৃদযন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। তবে সরিষার তেল এক্ষেত্রে ভিন্ন।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ এর প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অন্যান্য তেলের পরিবর্তে নিয়মিত সরিষার তেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে হৃদরোগ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা একেবারেই কমে যায়। এতে থাকে ওলেরিক অ্যাসিড হৃদরোগ দেখা দেওয়ার সম্ভবনাকে প্রতিরোধে কাজ করে।

‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডিজ’ এর তথ্যানুসারে, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে ৩০০ জন নানান ধরণের হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন তার প্রায় অর্ধেক মানুষ। নিজের সুস্বাস্থ্য ও সরিষার তেলের নানাবিধ উপকারিতার বিষয় বিবেচনা করে অন্যান্য তেলের পরিবর্তে এই তেলটি গ্রহণের প্রতি জোর দিতে হবে এখন থেকেই।

সংক্রমনের সম্ভবনা কমায়

একাধিক গবেষণা সুপারিশ করে, সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান রয়েছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করতে কাজ করে। ফলে সহজে শরীরে রোগের সংক্রমণ হয় না। এছাড়া ডায়জেস্টিভ ট্র্যাক ইনফেকশানের মতো শারীরিক সমস্যাকেও দূরে রাখতে কার্যকর প্রাকৃতিক এই তেলটি।

হজমের সমস্যা কমে

ঘনঘন পেটের সমস্যা দেখা দিলে অন্যান্য তেল বাদ দিয়ে সরিষার তেল দিয়ে রান্না করা শুরু করতে হবে। এতে লক্ষণীয়ভাবে পেটের সমস্যা কমে আসবে। মূলত সরিষার তেল একাধিক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বদহজম বা পেটে অন্যান্য সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে এবং সমস্যা দেখা দিলেও প্রশমিত হয় খুব দ্রুত।

তেলেভাজা খাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট

বেশিরভাগ খাবার রান্না করা হয় উচ্চতাপমাত্রায়। উচ্চ তাপে খাবার রান্নার জন্য সরিষার তেলের বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরণের তেলের মাঝে অলিভ অয়েল স্বাস্থ্য সম্মত হলেও, উচ্চতাপে রান্নার জন্য অলিভ অয়েল খুব একটা উপকারী নয়। তবে মাঝারি ও স্বল্প তাপে রান্নার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

খারাপ কোলেস্টেরল কমায়

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেল রক্তে খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুসারে, সরিষার তেল ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধি প্রাকৃতিক তেল। যা হাড়ের জয়েন্টের ব্যাথা ও মানসিক হতাশা, বিষণ্ণতার মতো সমস্যাগুলোর প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button