জানা-অজানাঝিনাইদহ সদরটপ লিডদেখা-অদেখা

ঝিনাইদহে বিজয় উৎসবে পথেপথে বিক্রি গৌরবের লাল সবুজের পতাকা

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহের চোখ-

বিজয়ের ৫০তম উৎসবে বাঙালী জাতির বিজয়কে আনন্দঘন করতে দেশ ব্যাপি জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন ওদের কাজ আর ডিসেম্বর এলেই পতাকা হাতে দেখা মেলে ওদের। কয়েক ফুট লম্বা বাঁশের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বড় থেকে ছোট আকারের পতাকা সাজিয়ে পথে পথে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

মাদারীপুর থেকে ঝিনাইদহে পতাকা বিক্রি করতে আশা এদের এমনই একজন জয়নাল। জয়নালের সাথে কথা বলে জানাযায়, সারা বছর অন্য কাজ করেন তিনি। কিন্তু ডিসেম্বর মাস এলে প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। বিজয়ের ৫০তম বছরে এসে বাংলাদেশের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ স্থান বিষয়খালীতে দেখা মেলে পতাকা বিক্রেতা মাদারীপুরের জয়নাল। সে আরো জানান, বাংলাদেশের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ স্থানটি দেখতে পেয়ে আমি খুব আনন্দীত। সে বিগত দশ বছর ধরে এভাবেই ব্যবসা করছেন তিনি। এবছর ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মাদারীপুর থেকে এসে ঝিনাইদহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন জয়নাল। শুধু পতাকা নয়, মাথায় ও হাতে বাঁধতে লাল-সবুজের ব্যাচ, বাচ্চাদের জন্য প্লাস্টিকের হাতলসহ পতাকাও বিক্রি করছেন সে। আকার ভেদে একেকটি পতাকা ৪০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা আর ব্যাচ বিক্রি হয় ১০ টাকা করে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয় তার। আর হাজারে লাভ হয় ৩শত থেকে ৫শত টাকা।

তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে বেশি আনন্দ পাই। বিজয়ের এ মাসে যদি প্রত্যেকের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিতে আর মাথায় একটি করে জাতীয় পতাকা খচিত ব্যাজ বেঁধে দিতে পারতাম। তা হলে পতাকা বিক্রিতে আমার সার্থকতা আসত।

তার কাছে ব্যাচ কিনতে আসা ক্রেতা জহির হোসেন বলেন, তার ছোট ছেলে-মেয়ের জন্য লাল-সবুজের ব্যাচ কিনে নিলাম। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে এই ব্যাচ কেনা। তবে পতাকা নির্দিষ্ট মাপে বানানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button