জানা-অজানানির্বাচন ও রাজনীতি

আ.লীগের খুলনা বিভাগীয় টিমের বৈঠক : জানুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হচ্ছে ঝিনাইদহসহ ৪ জেলার সম্মেলন

ঝিনাইদহের চোখ-
আসন্ন ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত উপজেলা ও পৌরসভা এবং জানুয়ারির মধ্যে সব জেলার সম্মেলন শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিভেদ বা দ্বন্দ্বও দূর করতে চান টিমের সদস্যরা। শনিবার বিভাগীয় টিমের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বৈঠকে চারটি জেলার সম্মেলনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটির তারিখ আগেই চূড়ান্ত ছিল। বাকি একটি জেলার বর্ধিত সভার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। সেটির সম্মেলনের তারিখও দ্রুত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সম্মেলনগুলো সফল করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকব। তাদের কীভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ করা যায়, নির্বাচনে কীভাবে জনসমর্থন আরও বাড়ানো যায়-এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করব।

জানা যায়, ২২ সেপ্টেম্বর এই জেলার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে ১৫ জানুয়ারি। একই সঙ্গে এই জেলার দুই উপজেলা-শৈলকুপা ও কোটচাঁদপুরের সম্মেলন হবে ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর।

খুলনা বিভাগে একমাত্র চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। এ জেলার বর্থিত সভার দিন ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত হবে সম্মেলনের তারিখ। একই সঙ্গে জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা শাখাগুলোর সম্মেলনের তারিখ নিয়েও আলোচনা হবে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের কারণে ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ মাগুরা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন না। শনিবারের সভায় ওই বর্ধিত সভাগুলোর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের বৈঠকে ওই বিভাগের জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভা শেষে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির অনেকে আছেন, যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগ হতে চান। আমাদের (আওয়ামী লীগ) দরজা-জানালা বন্ধ করার কারণে ওদের (বিএনপির) কমিটিটা এখনো ঠিকে আছে। যদি আমরা দরজাটা খুলে দিতাম কী পরিস্থিতি হতো, এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞেস করুন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভা শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে। সভায় খুলনা বিভাগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button