কেবল আম নয়, আঁটিরও রয়েছে উপকারিতা
ঝিনাইদহের চোখঃ
গ্রীষ্মকালীন ফল আম। ইতোমধ্যেই বাজারে মিলছে কাঁচা আম। আমের ভর্তা, আচার, আম ডালে মজছে বাঙালিরা। আর কিছুদিন পরই পাওয়া যাবে পাকা আম। তখন আবার আমের জুস, কুলফি খাওয়া হবে বেশ। পদ যাই হোক, আম খাওয়ার পর যে অংশটি ফেলে দেওয়া হয় তা হলো আঁটি।
তবে সত্যিই কি এই আঁটি ফেলনা? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, কেবল আম নয়, এর আঁটিও বেশ উপকারী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, আম খেলে বেড়ে যায় রক্তের শর্করার পরিমাণ। কিন্তু আমের বীজের ক্ষেত্রে এর প্রতিক্রিয়া পুরোই ভিন্ন। অর্থাৎ, আমের বীজ বা আঁটি খেলে শর্করা থেকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও বেশ কিছু রোগ থেকে বাঁচার উপায় লুকিয়ে আছে এই ফেলনা অংশটিতেই।
খুশকি সমস্যায়-
মাথার ত্বকের খুশকি নিয়ে কম বেশি সবাই ভোগেন। এই সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান আমের আঁটি। আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাথার ত্বকে ম্যাসেজ করুন। একটু পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাথার ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। সেসঙ্গে কমে চুল ওঠার পরিমাণ।
ওজন কমাতে-
যারা ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচা আমের আঁটি খেতে পারেন। দেহের ফ্যাট বার্ন করতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
ডায়ারিয়া হলে-
আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে, পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া সমস্যায় উপকার মেলে। ক্রনিক ডায়রিয়া সারাতে খুবই কার্যকরী এটি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে-
দেহের বাড়তি কোলেস্টেরল কমাতেও বেশ কার্যকরী আমের আঁটি। নরম আঁটি কামড়ে খেতে পারেন। না পারলে কাঁচা আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে, দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তো কী ভাবছেন? এবার আর আমের আঁটি ফেলবেন নাকি কাজে লাগাবেন?