জানা-অজানাটপ লিড

ক্ষুধার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দিচ্ছেন ঝিনাইদহের নগর পিতা -মিন্টু

মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে একটি মানুষও ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। ঘোষণাটি এমন নয়, যে তিনি কত অর্থ দান করবেন, কত খাবার দান করবেন, এই ঘোষণা মানুষের বেদনাকে ধারণ করার অঙ্গীকার। জনতার যিনি অভিভাবক তাকে জনতার দুঃখ বহন করতে হয়। না হলে অভিভাবক নন, শুধু ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

অবশ্য ঝিনাইদহ পৌরসভার সব জনপ্রতিনিধি তাদের এক মাসের সম্মানি দান করেছেন। তারও আগে পৌরসভার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর একদিনের বেতন দিয়েছেন। পৌর কর্মকর্তা- কর্মচারীদের একদিনের বেতন এক লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং মেয়র ও কাউন্সিলরদের এক মাসের সম্মানী এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জেলা প্রসাশকের হাতে তুলে দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাইদুল করিম মিন্টুর কাজ অনন্য। দ্রæত সংক্রমিত রোগ যেখানে পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে, সেই পরিবেশে তিনি পায়ে হেঁটে ছয় হাজার পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। আরামের অফিস, বাড়ি বা গাড়ি তাঁকে বেঁধে রাখেনি। তিনি ক্ষুধার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন নিজেই। ত্রাণসামগ্রী যাতে ঠিক মানুষের হাতে পৌঁছায়, তাই কার্ড দিয়েছেন ঘরের নারীদের নামে এবং নারীদের হাতে। এখানেও তার প্রজ্ঞার পরিচয় আছে।

ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র্য ২৫ হাজার মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে মেয়র মিন্টু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তার দেওয়া প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি করে ডাল, তেল, আলু, এক কেজি লবণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি করে সাবান।

মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের সময় হতদরিদ্র্য মানুষের জন্য তিনি প্রায় পাঁচ হাজার বিজিএফ কার্ড বিতারণ করেন। এছাড়া ঝিনাইদহের দানবীর হিসাবে পরিচিত নাসের শাহরিয়ার মহুল একই সময় তার জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য ২০ হাজার কার্ড বিতরণ করে থাকেন। যে কারণে তিনি মনে করেন ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডে ২৫ হাজার হতদরিদ্র্য নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে, যাদের অনাহারে থাকতে হবে না। ইতিমধ্যে ১০ হাজার প্যাকেট সামগ্রী বিতরণ শেষ হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বাকি ১৫ হাজার মানুষের কাছে এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ঝিনাইদহের একটি মানুষও অনাহারে থেকে কষ্ট পাবে না। মানুষের কাছে যাবার এই কাজ তিনি হঠাৎ করে করেননি। এমনটাই তাঁর অভ্যাস। স্থানীয়রা বলেন, বিপদের দিনে যিনি কাছে আসেন, ঝুঁকি নিয়েও যিনি মানুষের কাছে আসেন- তিনিই তো আপনজন। মিন্টু তেমনি একজন নগরপিতা। প্রত্যেকেই এভাবে সকল সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে এলেই তো আমরা এই বিপদকে ফিরিয়ে দিতে পারব।#

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button