মহেশপুর

মহেশপুরে সাবেক কমিটির বিরুদ্ধে মসজিদ উন্নয়নের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ আজাদ, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা অবহেলিত একটি গ্রাম চাঁদরতনপুর। গ্রাম বাসীর উদ্যোগে গ্রামটিতে একটি মসজিদ নির্মান করা হয়। নাম দেওয়া হয় চাঁদরতনপুর সাতপাড়া জামে মসজিদ। মসজিদটি উন্নয়নের জন্য দু’বছর পুর্বে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ থেকে ৫০ হাজার টাকাও বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু চাঁদরতনপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাত্র ১৬ হাজার টাকার উন্নয়ন করে ৩৪ হাজার টাকা পেটে ভরেছে। ফলে মসজিদটির আর উন্নয়ন হয়নি। এভাবেই কথা গুলো বলেন মসজিদ এলাকার বাসিন্দারা।

তবে চাঁদরতনপুর সাতপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাবেক এক সদস্য জানান,২০১৮ সালে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য খবির উদ্দীন মসজিদ উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেন। কমিটির তৎকালীন সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দু’জনে মিলে টাকা উত্তোলন করেন। মাত্র ১৬ হাজার টাকার কাজ করে বাকি টাকা আতœসাৎ করেছেন। যা আজও আমাদের কোন হিসাব দেননি।

চাঁদরতনপুর সাতপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান জানান, আমরা কমিটিতে আসার পর জেলা পরিষদ থেকে যে মসজিদ উন্নয়নের কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিলো সে কাটার কোন কাজ দেখিনি। সে টাকা গুলো মসজিদের কোথায় উন্নয়ন করেছেন তাও আমাদেরকে বলেনি। মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সকলেই জানতে চাইলে তৎকালীন সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সাফ জানিয়ে দেন সে টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে।
চাঁদরতনপুর সাতপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান আরো জানান এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

এব্যাপারে চাঁদরতনপুর সাতপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির তৎকালীন সভাপতি শফিকুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন মসজিদ ফাÐের টাকা আর জেলা পরিষদের টাকা দিয়ে আমরা মসজিদের ঘর,গ্রীল ও টাইলস লাগিয়েছি। বাকিটা সভাপতি বলতে পারবেন।

জেলা পরিষদের সদস্য খবির উদ্দীন জানান, চাঁদরতনপুর সাতপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ঐ টাকা দিয়ে তারা কি কি কাজ করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে আমি শুনেছি সব টাকার নাকি কাজ করা হয়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button