ঝিনাইদহ সদর

ঝিনাইদহের সেই অটো চালক রাজকুমারের শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ

খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের সেই অটো চালক রাজকুমারের শেষ ইচ্ছা মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার স্বচোখে দেখা। নাম তার রাজ কুমার বিশ্বাস। বয়স ৫৫ বছর। তিনি পেশায় একজন গ্রামবাংলা (অটো) চালক। তিলে তিলে করে কর্ষ্টাজিত কিছু টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। স্বপ¥ ছিল তার ঝিনাইদহ শহরে এক টুকরো জমি কিনে বাড়ী করে পরিবার পরিজন নিয়ে বাকী জীবনটা কাটাবেন সেখানে। ঠিক সেই মূর্হুতে বিশ্বে যখন মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও ঠিক একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন গ্রামবাংলার (অটো চালক) রাজ কুমারের মানষিক অবস্থা পাল্টে যায়।

আবেগআপ্লুত হয়ে রাজকুমার বলেন, মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষকে নিয়ে যেভাবে ভাবেন এই দেখে সেই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তার মনে। তখন সে নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে ভাবতে শুরু করেন দেশের মানুষের কথা। তাই তার শেষ ইচ্ছা এই মাকে এক বার স্বচোখে দেখা।

তাই করোনাকালীন সময়ে জেলা প্রশাসকের কার্ষালয়ে হাজির হয়ে তিল তিল করে জমানো সেই ৫০ হাজার টাকা করোনা ভাইরাস জনিত দুর্গতদের জন্য তুলে দিয়েছিলেন প্রায় ৬ মাস আগে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের কাছে। এরপর থেকে তিনি অটো চালিয়ে আবারও ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেছেন। তবে এবার তিনি তার কষ্টার্জিত জমানো টাকা দিতে চান সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। এজন্য তিনি বিভিন্ন মহলে ধর্না দিচ্ছেন কিভাবে তিনি পৌছাবেন মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

রাজ কুমারের নিজ বাড়ী যশোরের পুলিশ লাইনস্ এলাকার টালিখোলা থেকে ১৯৯০ সালে জীবিকার উদ্যেশ্যে ঝিনাইদহে আসেন। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় চালিত আটো চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। সেই থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি পৌর এলাকার চাকলাপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ীতে স্ত্রী ও একটি শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, মহামারী করোনার সময় রাজ কুমারের মতো একজন সামান্য অটো চালক যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা সমাজের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button