ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের চামড়া ব্যবসায়ীরা ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে এখনো পাওনা রয়েছে এক কোটি ২২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। সরকারের টাকা উদ্ধারের ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ঝিনাইদহ চেম্বারের কাছে এ হিসাব দাখিল করেছেন ঝিনাইদহের চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বছরের পর বছর পাওনা টাকা না পেয়ে ঝিনাইদহ শহরের ৫ জন চামড়া ব্যবসায়ী পথে বসতে চলেছেন। তাদের ব্যবসা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। দায় দেনায় জড়িয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে অপমান অপদস্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়িত।
অন্যদিকে টাকা না দিয়ে ঢাকার ট্যানারি মালিকরা তাদের সঙ্গে টালবাহানা করছেন। এভাবে বছরের পর বছর ব্যবসায়ীদের ঘুরাচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের চামড়া ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান পুরানো মিনা বাজার, ধানমণ্ডি এলাকার ট্যানারি মালিক সোলাইমান হোসেন মঞ্জুর কাছে পাবেন ২৫ লাখ ১ হাজার টাকা, ট্যানারি মালিক সাইফুল ইসলামের কাছে হারুন ব্যাপারি পাবেন ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা এ ছাড়া জিয়া লেদারের মালিক আবু তাহেরের কাছেও পাবেন ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩২০ টাকা, হেমায়েতপুর সাভার এলাকার এমেক্স লেদারের মালিকের কাছে চামড়া ব্যবসায়ী ফখরুলের পাওনা ৫০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪ টাকা এবং ঝিনাইদহের ব্যাপারীপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ী আজিজার রহমান ঢাকার সীমান্ত লেদারের মালিক আবুল বয়ান হাজীর কাছে পাবেন ৩৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫০ টাকা। বছরের পর বছর ট্যানারি মালিকরা এই টাকা পরিশোধ না করে উল্টো এই সব ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এই সব ব্যসায়ীরা প্রাণ ভয়ে ঢাকায় গিয়ে ট্যানারি মালিকদের কাছে টাকার জন্য তাগাদাও করতে পারছেন না। ঝিনাইদহে অনেক চামড়া ব্যবসায়ী বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ চেম্বারের অফিস সেক্রেটারি এনামুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ নিয়ে চেম্বার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের বৈঠক চলাকালেই ঝিনাইদহ চেম্বারের সভাপতি পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ফোন করে তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক আমরা তালিকা করেছি। আমরা যাচাই-বাছাই করে তালিকা সঠিকভাবে তৈরির পর তা এফবিসিসিআইতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন উপর থেকে কি সিদ্ধান্ত আসে সেই অপেক্ষায় আছি। যদি কোনো সিদ্ধান্ত হতো তাহলে আমরা জানতে পারতাম, তবে আমরা ধারণা করছি হয়তো এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই।
