অন্যান্য

ফুলকপি খেলে কী হয়?

দেখতে বড়সড় একটি ফুটন্ত ফুলের মতো হলেও আসলে এটি এক ধরনের সবজি। মূলত শীতকালীন সবজি, তবে সারাবছরই কম-বেশি এর দেখা মেলে। বলছি ফুলকপির কথা। ভাজি, ভর্তা, ঝোল করে তো খাওয়াই যায় পাশাপাশি নুডলস, পাস্তা, স্প্যাগোটি, সালাদ, পাকোড়ায়ও ব্যবহার করা যায় এটি। বিশেষ করে শিশুদের পছন্দের সবজি এই ফুলকপি। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এই সবজি কেন প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখবেন, চলুন জেনে নেই-

ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সাথে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের। সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়।

নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। পাশাপাশি আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।

এই সবজিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন একটি বি ভিটামিন। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি খেলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। জ্ঞান, শিক্ষা এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন।

সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ দহন হওয়া জরুরি। তবে দহনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে ক্যান্সার বা এ ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। ফুলকপিতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’, যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান। যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপির ফাইবার খাবার হজম হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button