টপ লিডনির্বাচন ও রাজনীতিশৈলকুপা

শৈলকুপায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজরীত বাড়ীটি সরকারী ভাবে সংরক্ষনের দাবি

এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে কুষ্টিয়া আসেন বঙ্গবন্ধু। সেখান থেকে আসেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার অজপাড়াগাঁ পুরাতন বাখরবা গ্রামে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর আওয়ামী লীগ নেতা (সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য) অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের বাড়ি। সঙ্গে ছিলেন বরিশালের মহিউদ্দিন ও খুলনার শেখ আব্দুল আজিজ।

প্রত্যক্ষদর্শী দাবিদার সেই সময়কার ১২ বছরের কিশোর সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তোবারেক হোসেন মোল্যা বলেন, ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে ঝিানইদহ-শৈলকূপা-হরিণাকুন্ডু আসনে যুক্তফ্রন্টের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন কামরুজামান। সেই নির্বাচনের প্রচার চালাতে বঙ্গবন্ধু ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া আসেন।

তারপর ট্রেনে খোকসা। সেখান থেকে নৌকায় গড়াই নদী পার হয়ে শৈলকূপার কাতলাগাড়ি পৌঁছে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে আসেন অজপাড়াগাঁ বাখরবা গ্রামে কামরুজ্জামানের বাড়িতে। সেখানে দুপুরে পুকুরে গোসল শেষে খাবার খান তিনি। এর পর বিকেলে কাতলাগাড়িতে মিটিং শেষে ফিরে এসে রাত্রিযাপন করেন কামরুজ্জামানের বৈঠকখানায়। পরদিন সকালে রওনা হন ঝিনাইদহের উদ্দেশে।

বঙ্গবন্ধু যে ঘরটিতে রাত কাটিয়েছেন, কাঠামো ঠিক রেখে দলীয় বা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পাঠাগার হিসেবে রাখতে চান প্রয়াাত সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কামনুজ্জামানের কন্যা পারভীন জামান কল্পনা ।

রবিবার বেলা তিনটায় বঙ্গবন্ধুর রাত কাটানো সেই বাড়ীর আঙিনায় এক স্মৃতিচারন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মেয়র কাজি আশরাফুল আজম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুন্নবী কালু ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়াদ্দার ,তৈয়ব আলী জোয়াদ্দার,মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী দীপ্তি রহমান, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র আনিছুর রহমান খোকা,জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সোম,কামরুজ্জামানের ভাতিজা মাসুদ আহমেদ সঞ্জু প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ঘরটির সংরক্ষণের দাবি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button