মহেশপুর

ঝিনাইদহে ধর্ষন ঘটনাটি মিথ্যা

ঝিনাইদহের চোখঃ

নিকটাত্মীয়কে ফাঁসাতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে দিয়ে ধর্ষন অপবাদ দিয়ে অবশেষে নিজেরাই ফেঁসে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে।

সোমবার রাতে ধর্ষনজনিত কারণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় যাদবপুর গ্রামের ফিরোজের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন।

সাংবাদিকদের সে সময় তিনি জানান, তাকে একই গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের ছেলে সবুজ ধর্ষন করেছে। গনমাধ্যমকর্মী তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। কিন্তু মঙ্গলবার ঘটনা তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে এই মিথ্যা ও সজানো ধর্ষন কান্ড।

অভিযোগ উঠেছে যদিবপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বদিয়ার নামে এক ব্যক্তি ঘটনাটি জটিল করতেই ওই মহিলাকে দিয়ে ধর্ষন নাটক সাজায়।

মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম জানান, স্থানীয় একটি কলেজের একাউনটেন্ট সবুজের সাথে ওই মহিলার পরিবারের লেনদেন ছিল। তাছাড়া সবুজ তাদের আত্মীয়ও বটে। লেনদেন বিষয় নিয়ে মর্জিনার বাড়িতেই সোমবার মারপিট করা হয় সবুজকে। এই মারপিট ঘটনা আড়াল করতে গিয়ে মর্জিনাকে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয় ধর্ষন কান্ডের।

ওসির ভাষ্যমতে মর্জিনা ও তার স্বজনরা সোমবার থানায় আসে। তারপর একটি কুচক্রি মহল রাতেই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে মর্জিনাকে। ধর্ষন ঘটনাটি মিথ্যা হওয়ায় মঙ্গলবার দুই পরিবারকে নিয়ে আপোষ রফার ভিত্তিত্বে মর্জিনাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে যারা নিজের মান সম্মান বোধ বিসর্জন দিতে পারে তারা কতই না নিষ্ঠুর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button