শৈলকুপা

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে পশুর ভেজাল খাদ্যের রমরমা ব্যবসা

ঝিনাইদহের চোখ-

ঝিনাইদহে অবাধে ভেজাল দেয়া হচ্ছে পশুখাদ্যে। গড়ে উঠেছে ভেজাল পশু খাদ্যের কারখানা। কোরবানি সামনে রেখে ভেজাল ভুষি ও দানাদার খাদ্যের ব্যবসা তুঙ্গে।

ধানের গুড়া, অটো রাইস মিলের পালিশ, কুঁড়া-ধুলা আর নষ্ট আটা দিয়ে বানানো হচ্ছে গমের ভুষি। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব খাদ্য প্রাণির প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

বাইরে তালা, আর ভেতরে গোডাউনগুলো যেন এক একটি মিনি কারখানা। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাত-দিন এসব গোডাউনে চলছে ভেজাল ভুষির মিশ্রণ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ নামি-দামি বিভিন্ন মিল ব্র্যান্ডের স্টিকার, লোগো ও লেভেল।

শহরের কবিরপুর, হাইস্কুল মার্কেটসহ ১০ থেকে ১৫টি গোডাউনে চলে ভেজালের এই কারবার। ধানের গুড়া, অটো রাইস মিলের পালিশ, কুঁড়া-ধুলা, ভুট্টার গুড়া আর নষ্ট আটায় বানানো হচ্ছে গমের ভুষি। ইটের গুড়া, ঝিল দিয়ে বিক্রি হচ্ছে চালের খুঁদ। ঘোষণা দিয়েই এসব বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভাল মানের ভুষি স্থানীয় হাট-বাজারে চলে না, বেশি দামে কিনে বেচা যায় না। তাই কিছু ভুষি মিশ্রণ করা হয়। ভেজাল বলেই কিনি, ভেজাল বলেই সবার কাছে বিক্রি করি।’

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মামুন খান বলেন, ‘তিন ধরনের ভুষি ওরা সংগ্রহ করে এবং সেগুলো রাতের আধারে মিশিয়ে খামারিদের কাছে বিক্রি করে। এটা অবশ্যই একটা ক্রাইম। এই ভেজাল খাদ্যে মারাও যেতে পারে গবাদিপশু।’

সম্প্রতি ভেজাল ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযানে নামে প্রাণিসম্পদ অফিস। হাতেনাতে ধরে জরিমানা করা হয় এক ব্যবসায়ীকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button