মহেশপুর

মহেশপুরে ২০ দিন পর মৃত ব্যক্তির লাশ উত্তোলন চেয়ে আবেদন

ঝিনাইদহের চোখ-

মহেশপুর থানা পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে মৃত গোলাম হোসেনকে (৬২) তড়ি ঘড়ি করে দাফনের ২০ দিন পর লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নিকট। আবেদনটি করেছেন নিহত গোলাম হোসেনের ফুফাতো ভাই শওকত আলী।

শওকত আলী জানান, গোলাম হোসেনকে মেরে তার লাশ তড়ি ঘড়ি করে দাফনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনেই তিনি জেলা প্রশাসকের নিকট লাশ উত্তোলন চেয়ে আবেদনটি করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোলাম হোসেন লেবুতলা গ্রামের শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন। প্রায় দিনই অসহায় গোলাম হোসেনকে তার স্ত্রী, পুত্র ও শ্যালকরা মারপিট করে আসছিলো। এ অবস্থায় গত ৩০ জুন দুপুরে লেবুতলা গ্রামের জনৈক রেজাউল ইসলামের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় গোলাম হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।

নিহত গোলাম হোসেনের ফুফাতো ভাই শওকত আলী জানান, পুকুর থেকে লাশ তুলে এনে তারা থানা পুলিশ বা কোন আতœীয় স্বজনদেরকে না জানিয়ে তড়ি ঘড়ি করে আমার ভাইয়ের লাশ দাফন করা হয়েছে। তা ছাড়া আমার ভাইয়ের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিলো।

মহেশপুর থানার এস আই আবুজার গিফারী জানান, আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ও পুকুরের পানিতে লাশ পাওয়ার ঘটনা জানতে পেরেছি। তবে তারা কি কারনে পুলিশকে না জানিয়ে দাফন করলো তা আমার জানা নেই।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খান জানান, আমি অভিযোগটা পাওয়ার পরই থানার এস আই আবুজার গিফারীকে ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছিলাম। তবে তার স্ত্রীসহ সন্তানরা কেউ কোন অভিযোগ দেননি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button