অন্যান্য

‘হিজড়া’ পরিচয়েই এখন ভোটার হওয়া যাবে

ঝিনাইদহের চোখঃ

আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।

দেশে প্রথমবারের মতো এই হালনাগাদ থেকে নারী বা পুরুষের পাশাপাশি কেউ চাইলে হিজড়া পরিচয়েও ভোটার হতে পারবেন, ইতোমধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতোদিন হিজড়াদের ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নারী বা পুরুষ পরিচয়ে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে হতো।

এরই মধ্যে হিজড়াদের নিবন্ধনের জন্য ‘হিজড়া লিঙ্গ hijra’ হিসেবে চিহ্নিত করা ও ডেটাবেইজে সংরক্ষণের কারিগরি দিক সব ঠিক করা হয়েছে। তালিকা আইন ও ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া নিবন্ধন ফরমে হিজড়া শব্দ যোগ করে তা ছাপানোর কাজ চলছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ইসির যুগ্মসচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে হিজড়ারা চাইলে নিজ পরিচয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ বিষয়ে মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

এরই মধ্যে যেসব হিজড়া নারী বা পুরুষ হিসেবে ভোটার হয়েছেন, তারা যদি হিজড়া পরিচয়ে ভোটার হতে চান সেক্ষেত্রে কি করতে হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।

এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, এতদিন যে হিজড়া পুরুষদের পোশাক পরে তাকে পুরুষ এবং যে মহিলাদের পোশাক পরে তাকে মহিলা হিসেবে ভোটার করা হয়েছে। এখন থেকে তারা হিজড়া হিসেবে ভোটার হতে পারবেন। এটা কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় হিজড়াদের স্বীকৃতি বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মুখলেছুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে হিজড়া লিঙ্গ ( hijra) হিসেবে চিহ্নিত করিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিল।’

এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৪ সালে ভোটার তালিকা নিবন্ধনের খসড়া ফরমে হিজড়া লিঙ্গটি যোগ করেছিলেন। কিন্তু ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায়, সেটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা। এতোদিন কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে নারী বা পুরুষ লিঙ্গ বেছে নিতে হতো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button