ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে

মাজেদ রেজা বাঁধন, ঝিনাইদহের চোখঃ

এলাকাবাসীর অনেক চেষ্টা তদবিরের পর সাম্প্রতিক শুরু হয়েছে ঝিনাইদহের মহারাজপুর ইউনিয়নের খামারাইল গ্রামের সোহাগের বাড়ী হতে ছবদুলের বাড়ি পর্যন্ত ২৪০০ ফুট প্রধান সড়কটির ম্যাকাডোমসহ হ্যারিংবোনের নির্মাণ কাজ। রাস্তাটি অতি গুরুত্বসম্পন্ন হলেও দীর্ঘদিন অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিলো। এই রাস্তাটি পাকা হবে এটা ছিলো এই এলাকাবাসির প্রাণের দাবি। শীত মৌসুমে যেমন ধুলার আধিক্য থাকে শুষ্ক মৌসুয়ে হয় তেমন কাদা, যার ফলে এলাকার জনসাধারনের চরম দূর্ভেগ হয়।

এই রাস্তাটি সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক তাই এলাকাবাসীর নিকট এর গুরুত্ব অনেক বেশি। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত রাস্তাটি পাকা হওয়ার সংবাদে এলাকাবাসির মুখে হাসি ফুটেছিলো কিন্তু অতি নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দেখে তারা হতাশ ও নিরাশ।

স্থায়ীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে প্রথম শ্রেণীর ইট দিয়ে এই রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্ম মানের ৩ নম্বর ইট এবং স্থানীয় পুকুর থেকে উত্তেলিত ধুলো বালি। এলাকাবাসি প্রথমে ঠিকাদারের লোকদেরকে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ না করার জন্য বলে কিন্তু ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।

গত ৩ র্ফেরুয়ারী এলাকাবাসি ঝিনাইদহের এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামছুজ্জামানকে জানায় এবং এই বিষয়ে ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ করে। নির্বাহী প্রকৌশলী তাদেরকে আস্বস্থ করে বলে যদি নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে তাহলে কাজ বন্ধ থাকবে। তার কথা অনুযায়ী দুইদিন রাস্তার কাজ বন্ধও ছিলো কিন্তু গত ৬ র্ফেরুয়ারী আবারও নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করতে আসলে স্থানীয় গ্রামবাসি বাঁধা দিতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন গ্রামবাসির কয়েকজনকে মারতে উদ্যত হয় এবং ধাকা মেরে ফেলে দেয়। তখন গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে প্রবল বাঁধার সৃষ্টি করলে ঠিকাদারের লোকজন সরে পরে। তখন থেকে কাজ বন্ধ আছে। এরপর এলাকাবাসি সংবাদ কর্মীদেরকে জানালে সাংবাদিকরা সেখানে যায় এবং নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রীর ছবি সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামছুজ্জামান সাংবাদিকদেরকে জানায় আমি রাস্তার কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি তারপরেও যদি তারা করে তাহলে তারা বিল পাবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button