ক্যাম্পাসদেখা-অদেখা

নান্দনিক সৌন্দর্যের ক্যাম্পাস: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ঝিনাইদহের চোখ-

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটি দেশের সর্বোচ্চ ইসলামী বিদ্যাপীঠ। দেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইবি।

২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝিনাইদহ শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়, কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৬ সালে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টি অনুষদের অধীনে ৩৬ টি বিভাগে ১৬০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসা প্রশাসন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক ও কলা অনুষদীয় বিষয়ের পাশাপাশি দেশে শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতেই ধর্মতত্ব ও ইসলামী আইনের উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি আর্থিকভাবে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সাহায্য পরিচালিত হয়ে আসলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, ওয়ার্কস কমিটি, উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা কমিটি, অনুষদীয় কমিটি, বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি ও একাডেমিক কমিটি রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সামনেই রয়েছে মৃত্যুজ্ঞয়ী মুজিব মুরাল, তার পাশেই রয়েছে মুক্তবাংলা ভাস্কর্য: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মনে চির জাগরুক রাখতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’ আরও রয়েছে, সততা ফুয়ারা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্মৃতি সৌধ, বাংলা মঞ্চ, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, মুক্তির আহ্বান’ও ‘শাশ্বত মুজিব’ মুরাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া বিভাগ, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ও স্কাউটস।

এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্র, স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, প্রেস, কেন্দ্রীয় মসজিদ, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা।

ক্যাম্পাসের পিছনের দিকে রয়েছে ইবির মফিজ লেক, রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। চারিদিকে ফুল ফলের শোভা যেন লেকের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্যারাডাইস রোড,পেয়ারা তলা, ঝাল চত্তর, ডায়না চত্তর। সময় পেলেই সবাই মেতে ওঠে খেলাধুলা, গান-বাজনা আর হইহুল্লোড়ে। প্রকৃতি আর ক্যাম্পাসের সুন্দর্য সকলের মুগ্ধ করে।

ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারীর প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button