জানা-অজানাঝিনাইদহ সদর

চুরি ঠেকাতে ডাকবাংলা বাজারে ৩২ টি সিসিটিভির চাদরে ঢাঁকা হচ্ছে

সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখ-

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে । এ চুরি কিছুতেই রোধ করতে পারছে না ডাকবাংলা পুলিশসহ বাজার কমিটি। তাই মঙ্গলবার বিকালে চুরির কবল থেকে কিভাবে দোকান মালিকেরা রক্ষা পাবে সেই উদ্দেশ্য করে জরুরি মিটিং করেছে ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতি। মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান ও এ এস আই মাখন বিশ্বাস এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের সদস্যগন।

সম্প্রতি কয়েক দিন পূর্বেও চুরি হয়েছে এ বাজারে। দুটি মুদিখানা দোকান, একটি গার্মেন্ট ও একটি ঢেউ টিনের দোকান। চারটি দোকানের মধ্যে উত্তর নারায়নপুর ত্রিমহনীর মোল্লা ষ্টোর থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা,প্রায় ৪০ হাজার টাকার বিভিন্ন মোড়গের সিগারেটসহ ৩ হাজার টাকার কোমল পানি। এদিকে ডাকবাংলা বাজারের নবি উদ্দিন ষ্টোর থেকে নগদ ৪ হাজার ও বিভিন্ন মোড়গের প্রায় ১০ হাজার টাকার সিগারেট।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২১ জুলাই ) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে হাবিব ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। বিসমিল্লাহ্ স্যানিটারী দোকান থেকে নগদ ২২,০০০ টাকা ও মোটর ৪ পিস যার বাজার মুল্য ৮০,০০০ ট্কা এবং আলম এন্ড ব্যাদার্স তেলের দোকান থেকে নগদ ৫২ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে ,দোকানদারেরা প্রতিদিনের ন্যায় সকালে দোকান খোলার উদ্দেশ্য করে দোকানে এলে প্রথমেই তাদের নজরে পড়ে এই ঘটনা। ক্ষনিকের মধ্যে জানাজানি হতেই অন্যান্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেরা তাদের দোকানে ছুটে আসেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এ ধরনের চুরি প্রতিনিয়তই হয়ে থাকে। যে দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে সেই দোকানের পাশেই রাত ভর পাহারাদার জেগে থাকেন। পাহাদারদের আমরা প্রতি মাসে দোকান প্রতি মাসহারা দেয় ১০০-২০০ টাকা। তারপর ও কিভাবে এই মহামারী করোনা সংকটের মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে?

মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পে ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান,বাজার কমিটির সভাপতি আঃ রহমান কামাল ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব শেখসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছুটে যান ও চুরি হওয়া দোকানদারদের কাছে ।

এবিষয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আঃ রহমান কামাল প্রতিবেদককে জানান, ডাকবাংলা বাজারে বার বার চুরি এটা আসলেই খুব দুঃখ জনক। চুরির ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমার দোকান মালিক সমিতি জরুরি ভিত্তিতে মিটিং ডেকে কিভাবে এই চুরির থাবা থেকে বাঁচা যায় সেটা আলোচনা করে সমিতির সকল সদস্যদের সম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুরো বাজার খুব দ্রুত ৩২ টি সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। বাজারে মোট পাহারাদার ৫ জন এবং তাদের সাথে আরও ৫ জন করে ক্রমাগত ভাবে দোকান মালিক সমিতির সদস্যগন ও ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প সহযোগিতা করবেন। দোকানে কোন প্রকার টাকা রাখা যাবে না। দোকান বন্ধ করার পূর্বে দোকানের সামনে একটা বৈদ্যুতিক বাল্প জালাতে হবে। পাহারাদার থাকবেন রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত। তাহলেই হইতবা আমাদের দোকান মালিকেরা একটু স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।

এবিষয়ে ডাকবাংলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিব শেখ প্রতিবেদককে জানান, ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিকদের সহযোগিতায় খুব দ্রুত সিসিটিভির আওতায় আনা হচ্ছে। যদিও বা ডাকবাংলা বাজার অনেক বড় একটি বাজার এখানে ৫ জন পাহারাদার তাদের সাথে এখন থেকে দোকান মালিক সমিতির ৫ জন করে সদস্য পালা ক্রমে থাকবেন রাত ১০ টা হতে সকাল ৬ টা পর্যন্ত সাথে প্রতিদিন সহযোগিতা করবেন ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প।

এবিষয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, আসলে দোকান চুরির বিষয়টি দুঃখজনক। মঙ্গলবার বিকালে দোকান মালিক সমিতি জরুরি মিটিং ডেকেছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছে বাজার সিসিটিভির আওতায় আনবে,পাহারাদারদের তারা সহযোগিতা করবে। আর চোর চক্র যারাই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button