টপ লিডপ্রবাসে ঝিনাইদহমহেশপুর

জর্ডানে বন্দি মহেশপুরের নাজমার করুন কাহিনি/দেশে ফেরার আকূতি

জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক অসহায় নারী স্বপ্ন দেখেছিল বিদেশ যেয়ে জীবনের ভাগ্য পরিবর্তনের। সে এখন জর্ডানে দালালদের নিয়ন্ত্রণে বন্দিদশায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বন্দিদশা থেকে সে দেশে ফেরার আকূতি জানিয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় গত ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিমান যোগে সে জর্ডানে পাড়ি জমায়। সেখানে দালালরা তাকে একটি বাসায় আটকে রেখে যৌন হয়রানি ও নির্যাতন করছে। তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে না পারায় শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হচ্ছে। বর্তমানে সে জর্ডানে দালালদের একটি অফিসে বন্দিদশায় জীবন কাটছে। সেখানে একাধিক বাংলাদেশের মহিলা আছে বলে সে জানিয়েছে। সেখান থেকে এক মহিলার সহযোগিতায় তার পরিবারের কাছে ফোনে নির্যাতনের বর্ণনার কথা বলেছে। এ বিষয়ে প্রবাসি নাজমার স্বামী মফিজুর রহমান ঝিনাইদহে কর্মরত মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির কাছে করুন বর্ণনা দিয়ে স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন জানিয়েছে।

আবেদনের সূত্র থেকে জানা গেছে, নাজমা খাতুনের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মোটা বেতনে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মহেশপুর থানার রাখালভোগা গ্রামের মৃত তালেব মন্ডলের ছেলে মিলনের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানাধীন কৈঝুরি ইউনিয়নের বাহারমোড় গ্রামের আলতাফ শেখের পুত্র আদম ব্যবসায়ী আলমের সাথে যোগাযোগ হয়। উক্ত আলম ঢাকা পল্টনের একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক জাহিদুলের মাধ্যমে ১২/১২/১৯ইং তারিখে বিমান যোগে তাকে জর্ডানে পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে শুরু হয় নাজমার জীবনের করুণ পরিনতি।

মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির নির্বাহী প্রধান আব্দুর রহমান জানান, নাজমাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসি কল্যান মন্ত্রাণালয় কে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন নাজমার এক বোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছে সে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। সে দেশে ফরার আকুতি জানিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button