ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঠিকাদারের গাফিলতি অভিযোগ
#শিপলু জামান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া নামকস্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এর কারনে ব্রীজের দুপাশে প্রতিদিনই দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীবাহিবাস সহ বিভিন্ন যানবাহনের। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে ব্রীজ নির্মাণ শেষ হয়ে গেছে। এখন কিংরিং সেশন চলছে। আগামী ২৬ আগষ্টের পর থেকে এখানে আর সমস্যা থাকবে না।
বৃহষ্পতিবার ও ঐ ব্রীজের সামনে একটি ট্রাকের চাকা ভেঙ্গে প্রায় ৩ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তার পাশে যে বাইলেন বা ডাইভারশন রাস্তা তৈরি করেছে সেটিতে বৃষ্টি পানি আর কাদায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই প্রতিদিনই এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তার পাশে যে ডাইভারশন রাস্তা (মাটি দিয়ে) করা হয়েছে তার উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। যার কারনে ব্রীজের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এর কারনে প্রতিনিয়ত এখানে বাস,ট্রাক কিংবা মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়ছে। বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে একটি ট্রাক ব্রীজের উপর কাদায় আটকে সামনের চাকা ভেঙে যায়। এর ফলে ব্যস্ততম এই সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রীজের পাশের বেশ কয়েকজন মটর গ্যারেজ শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই এখানে কোন না কোন যানবাহন নষ্ট হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তার উপর মাটি রেখে দেওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আসে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকায় একটি পুরাতন ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ নতুন করে নির্মাণের অনুমোদন পায় যশোরের মাইনুদ্দিন বাশি নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই ব্রীজটি নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় প্রায় ৩১ লাখ টাকা। ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শেষ । কয়েকদিনের মধ্যে দুই পাশ খুলে দেওয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কালীগঞ্জ অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী এসও আব্দার রহমান জানান, ব্রীজটি মেরামত শেষ হয়েছে। মুলত যে যানবাহন চলাচলের জন্য যে বাইপাস বা ডাইভারশন রাস্তা করা হয়েছে সেখানে বৃষ্টিতে কাদা হয়ে গেছে। এর ফলে সেখানে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ব্রীজের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে এর কারনে একটু যানজট হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ব্রীজের ওপর একটি ট্রাক সামনের চাকা ভেঙ্গে যাওয়ায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট হয়েছে। আগামী ২৬ আগষ্ট এই ব্রীজটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। তখন আর সমস্যা হবে না।