পাঠকের কথা

“সৌন্দর্য জগতে পরনিন্দা ও আমিত্বের আত্মপূজা”…….মোঃ এ.কে.এস অনিমিথ (কসমিটোলজিস্ট)

ঝিনাইদহের চোখঃ

“গীবত” বা পরনিন্দা সবসময়ই সত্যি হয়, যেটা মিথ্যা ওটা গীবত নয়, “তোহমত” মানে অপবাদ। সৌন্দর্য নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মনকে অবশ্যই কলুষতামুক্ত, সংবেদনশীল, উদার এবং দর্পনের মতই স্বচ্ছ রাখা উচিত কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হিংসা-দ্বেষ, লোভ-লালসা, স্বার্থচিন্তা, কুমন্ত্রণা ক্লোদক্ত সংস্পর্শে আমাদের হৃদয়ের ভাল দিকগুলো ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে। যখনই আমরা আমাদের মষ্তিষ্ক ও হৃদয়টা ফাকা রাখছি তখনই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে সমালোচনা,ঘৃণা,হিংসা ও অহংকার। সমালোচিত যারা হচ্ছেন তাদের থেকেও সমালোচনা যারা করেন তারা অনেক বেশি অসুখি। এই অসুখি রোগের জন্য সফলদের পরনিন্দা করে কিছুটা সময়ের জন্য আমিত্বের পৈশাচী আত্মতৃপ্তি পায় পরর্চচাকারীরা এবং সুখি হবার থেকে আরো বেশি অসুখি ও অস্হির হয়ে পড়ে তারা। তখন এ থেকে মুক্তির জন্য উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলে মসজিদ,মন্দির,গীর্জাতে,শুরু করে লোকদেখানো দান ও মানবতা। খুঁজে বেড়ায় কোথায়, কার কাছে গেলে,কাদের সাথে জোট বাঁধলে, কথা বললে সুখ মিলবে। কিন্তু সুখের খোঁজ তাদের মেলেনা, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন “পরনিন্দাকারীদের পশ্চাতে ও সম্মুখে দুর্ভোগ, ধ্বংস্ব তাদের জন্য যারা অন্যের দোষ বলে বেড়াই ”
( সূরা হুমাযাহ)

কিন্তু অন্য কোথাও না ছুটে পরনিন্দাকারীরা যদি নিজের হৃদয়ের কাছে গিয়ে হৃদয়টা স্বচ্ছ জলোআয়নার মত ঝকঝকে করে তবেই মিলবে রুপালী আল্পনাই আঁকা সুখ-শান্তি। যে মেকাপ নিয়ে কাজ করে, সে নিজেই বোঝেনা যে আমি কি মেকাপম্যান, মেকাপ আর্টিস্ট নাকি মেকাপ থেরাপিস্ট। যে হেয়ার নিয়ে কাজ করে সে নিজেই বোঝেনা যে আমি হেয়ার থেরাপিস্ট, হেয়ার টেকনিশিয়ান, হেয়ার বারবার, হেয়ার ড্রেসার নাকি ট্রাইকোলজিস্ট।যে স্কিন নিয়ে কাজ করে তারও নিজের কাজ সম্পর্কে সঠিক ধারনা নেই সেই পরর্চচা করে। যার নিজের সম্পর্কেই সঠিক ধারনা নেই, নিজেকেই পরিমাপ করতে পারেনা সেই যায় অন্যকে পরিমাপ করতে। কেনেথ টাইন্যান বলেন ” সমালোচক তারাই, যারা পথ চিনেন কিন্তু গাড়ী চালাতে পারেন না”
ইসলামে পরনিন্দাকে কঠিনভাবে হারাম করে কবিরা গুনাহ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে “পরনিন্দাকারীদের দোআ কবুল হয়না এবং এরা কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেনা”

আল্লাহপাক এদেরকে সতর্ক করে বলেন” তোমাদের কেউ যেন কারো সম্পর্কে গীবত না করে, কেউকি চাই সে তার মৃত ভায়ের মাংশ ভক্ষন করুক।”
( সূরা হুজারাত)

কারো কোন কিছু ভালো না লাগলে তাকে এড়িয়ে চলুন বা পরনিন্দা করার আগে বিষয়টা তাকে জানান। এ প্রসঙ্গে এ.পি.জে আব্দুল কালাম বলেন ” আমার কোন ভুল হলে অন্যের কাছে সমালোচনা না করে আমাকেই বলো কারন আমার ভুল আমিই শুধরাতে পারব, অন্য কেউ নয়”
অযথা অপবাদ দিবেন না কারন এটা খুব দ্রুত ছড়ায় এজন্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন ” ঘটনার চেয়ে রটনার রুপ অনেক বেশি বিচিএ এবং গতিবেগ প্রচন্ড”।

স্যার উইনস্টন চার্চিল
বলেছেন ” সমালোচনা শারিরিক কষ্টের চেয়েও বেশি অসহ্য”
আমি বিশ্বাস করি এ কথা তবে আমি এ.কে.এস অনিমিথ সমালোচকদের বলতে চাই – আপনি বড়,আরো বড় হন,তবে বড় হতে কাউকে ছোট করা লাগেনা। অন‍্যকে ছোট তারাই করে যারা নিচু মানসিকতার মানুষ।
আর যারা সমালোচিত হন তাদের উদ্দ্যেশ্য করে বলতে চাই – আপনি থেমে যাবেন না কারো কথায়, আপনার চূড়ান্ত সফলতাই একদিন তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিবে।

মনে রাখবেন আজীবন
ম্যালকম এক্স বলেছেন ” যদি তোমাকে নিয়ে সমালোচনা নাই হয় তবে তোমার সফল হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button