জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখামহেশপুর

ঝিনাইদহে কমলা চাষে দিন-দিন সম্ভাবনা বাড়ছে (ভিডিও)

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলায় কমলা ও মাল্টা চাষ বাড়ছে। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা এ দুটি ফল চাষে ঝুঁকছে। প্রতি বছরই এ দুটি ফলের নতুন নতুন বাগান তৈরি হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ জেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেলায় ৫ হাজার ৮৩২ বিঘাতে ( ৬৭১ হেক্টরে ) কমলা ও মাল্টার চাষ হয়েছে। চায়না ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ হচ্ছে। ফলনও ভাল হচ্ছে। কমলা গুলো সুমিষ্ঠ, বাজারে চাহিদাও ভাল।

মহেশপুর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ৭২ বিঘা জমিতে ফলের বাগান তৈরি করেছেন। তার বাগানে চায়না ও দার্জিলিং জাতের কমলা আছে। আছে মাল্টা ও পেয়ারা। এবার কমলার ভাল ফলন হয়েছে। নতুন উঠার পর প্রতি কেজি চায়না কমলা দেড়’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পরে দাম কমে প্রতি কেজি এক’শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। পাইকাররা এসে বাগান থেকে কিনে নিয়ে যায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। চারা লাগানোর আড়াই তিন বছর পর ফল ধরকে শুরু করে। গাছ বড় হলে ফল বেশি ধরে। ফলের ভারে গাছ নুইয়ে পড়ে। দেখতে সুন্দর লাগে। বিভিন্ন স্থান থেকে কমলা বাগান দেখতে মানুষ আসে।

ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পোড়া বাকড়ি গ্রামে কলেজ ছাত্র মোঃ রিফাত হোসেন তিন বিঘা জমিতে কমলা ও মাল্টা বাগার গড়ে তুলেছেন। চায়না ও দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান তৈরি করেছেন। এ বছর প্রথম ফল ধরেছে। তিনি জানান, এ বছরে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা কমলা বিক্রি করেছেন। বাগান তৈরিতে দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে প্রতি কেজি কমলা দেড়’শ টাকা দরে বিক্রি করেন। পরে দাম কমে যায়। ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এখন গাছে কিছু কমলা আছে। মাল্টা অক্টোবরে উঠতে শুরু করে। আর কমলা উঠে নভেম্বরের প্রথমে। মাস দেড়েকের মধ্যে ফুরিয়ে যায়। এখনো কিছু কমলা বাগানে আছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপ পরিচালক মো. আজগর আলি জানান, জেলায় কমলার চাষ বাড়ছে। চাষে লাভ ভাল হচ্ছে। ভরা মৌসুমে কমলা বাগান দেখতে সুন্দর লাগে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button