প্রবাসে ঝিনাইদহ

অতিমারির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দেবী

ঝিনাইদহের চোখঃ

কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা পৃথিবী। তবে দু’বছর আগেই করোনাভাইরাসের মতো এক অতিমারির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষাবিদ। ব্রিটেন সরকারের সমালোচক দেবী শ্রীধর কালই টুইটার ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন। তবে টুইটার অনুগামীদের (প্রায় ৬০ হাজার) আবেদনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন দেবী।

দু’বছর আগে চেলসি ক্লিন্টনের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক আলোচনার পরেই নজরে আসেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। সেখানেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, পশুর মাধ্যমে কোনও এক চিনা নাগরিকের সংক্রমণের আশঙ্কার বিষয়টি। সেখান থেকে কী ভাবে সারা পৃথিবীতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই বিষয়টি উল্লেখ করে তখনই সতর্ক করেছিলেন দেবী।

ডিসেম্বরে চিনে প্রথম সংক্রমণের পরেই সরকারকে অবিলম্বে প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। সঙ্কট মোকাবিলায় সাত দফা দাওয়াইও বাতলান। কর্ণপাত করেনি বরিস সরকার। দেবীর মতে, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের থেকেও পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীকে খুঁজে বার করার উপরে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই সঙ্কটে ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে গোড়া থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন দেবী। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই-র অভাব নিয়েও সরব হন তিনি ।

২৫ এপ্রিল তাঁর একটি পোস্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে। তিনি লিখেছিলেন, মার্চের শুরুতেই জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কেন মুখ খোলেননি? অনুদান কমে যাওয়ার আশঙ্কায়। আমরা যে কয়েক জন এই নিয়ে মুখ খুলেছি, জানি অনুদান পেতে কত সমস্যায় পড়তে হবে।

দেবী জানান, টুইটটির জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাকে। টুইটার ছাড়ার ঘোষণাও করেন। পরে অনুগামীদের অনুরোধে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদল করেন।

ভবিষ্যতে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কোভিড নীতি নিয়ে গবেষণা করবেন বলে জানিয়েছেন দেবী। সূত্র: আনন্দবাজার

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button