জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখামহেশপুর

ঝিনাইদহে কালের স্বাক্ষী জর্জবাড়ি

মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে ব্রিটিশ আমলে পিতা পুত্র জর্জ ইতিহাতের শেষ চিহ্ন বসত ভিটা কালের স্বাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে। সংরক্ষনের অভাবে তা আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে।

জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের চ্যাটার্জী পরিবার উচ্চ শিক্ষিত পরিবার হিসাবে পরিচিত ছিল। এই পরিবারের গোপাল চট্টোপাধ্যায় এবং তার পুত্র অমূল্য চট্টোপাধ্যায় পিতাপুত্র দুই জনই কোলকাতার কোর্টে নাম করা জর্জ ছিলেন।

জর্জ গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন- নলডাঙ্গার রাজা বাহাদুর প্রমথ ভুষন দেবরায়, জয়দিয়ার রাজা সতিষ চন্দ্র রায় বাহাদুর ও ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যা সাগর।

পিতা পুত্র দুই জনাই সাংস্কৃতি, ফারসি ও আরবি ভাষায় প্রগাড় পন্ডিত ছিলেন। তারা এখানে বসবাস করলেও চাকুরির সুবাদে কোলকাতার ২৩/ ৩১ গাড়িয়ারহাট রোড, বালিগজ্ঞে বসবাস করতেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর স্ব-পরিবারে সেখানে চলে যান তারা। সেখানে বংশধররা বসবাস করেন। কিন্তু এখানে ৮৮ শতাংশের জমির উপর নির্মিত রেখে যান সুরম্য পাকা অট্টলিকা।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, দেশ ভাগের পর পরিবারটি কলকাতায় চলে যাবার পর সরম্য অট্টলিকার ভবনগুলো স্থানীয় বাওড়ের মৎস অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হত। কিন্তু ১৯৮৫ সালে বিশ^ ব্যাংকের সহায়তায় বাওড়ের জন্য নতুন ভাবে অফিস বরাদ্ধ পাবার পর বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। নষ্ট হতে থাকে ভবনের ইমারত গুলো।

প্রবীণদের সাথে কথা বলে জান গেছে, তারা শুনেছেন ব্রিটিশ আমলে জর্জ সাহেব গোড়ার গাড়িতে আবার কখনও নৌকায় এবাড়িতে আসতেন। বাড়িটি মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রির আদলে তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে বাড়ির ঠাকুর ঘর এবং প্রধান ফোটকটি কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তাদের শেষ চিহ্ন এমনকি ঝিনাইদহ ইতিহাসের এ অংশটি রক্ষনা বেক্ষন করা হোন এমটাই দাবি স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিদের।

এবিষয়ে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, তারা জমিটিতে বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক তৈরির করার চেষ্টা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button