টপ লিডশৈলকুপা

নির্বাচন ঘিরে শৈলকূপায় সশস্ত্র মহড়া সংঘাতের আশংকা

ঝিনাইদহের চোখঃ

উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে সংঘাতপ্রবণ ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ঢাল-সড়কি-রামদাসহ দেশি অস্ত্রের মজুদ ও ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গ্রামাঞ্চলসহ উপজেলা সদরের পাড়া-মহল্লায় নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী যে কোনো সময় আধিপত্য বজায় রাখতে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন পক্ষ এসব দেশি অস্ত্র ব্যবহার করছে। এরই মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য কয়েকটি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও উপজেলা শহরে দেশি অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে।

১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে শৈলকূপা উপজেলা গঠিত। চলতি মাসের প্রথম দিকে এলাকার আধিপত্য নিয়ে ৩নং দিগনগর ইউনিয়নের দেবতলা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে ৩০ জনের বেশি আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় উভয়পক্ষ মামলা করায় বর্তমানে দেবতলা গ্রাম অনেকটা পুরুষশূন্য। এ ছাড়া এলাকাটিতে উভয়পক্ষ আধিপত্য ধরে রাখতে দেশি অস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এর মধ্যে ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। এ সময় ১০টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া বাজারে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশারফ হোসেনের কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেন, নৌকা মার্কার সমর্থকরা অন্যায়ভাবে তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি মোটোরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ হামলায় ৮ জন গুরুতর আহত হন। তবে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, তার কোনো সমর্থক এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। প্রতিপক্ষ নৌকার নির্বাচনী অফিসে হামলা করতে এলে এলাকাবাসী তা প্রতিহত করে। এ ঘটনার জের ধরে একই দিনে উপজেলা শহরে দিনভর রামদা, ঢাল-সড়কিসহ নানা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থকদের মধ্যে কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে হাটবাজারে প্রকাশ্যে এমন মহড়ার কারণে ওই দিন শহরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শহরের কবিরপুর, চৌরাস্তা মোড়, থানা মোড়, উপজেলা মোড়, হল মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়।

এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় কোনো দেশি অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত।

ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, আগামী ২৪ মার্চ শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ পুলিশ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button