কালীগঞ্জটপ লিড

কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় রাস্তার বেহালদশা/জনদুর্ভোগ চরমে

মোঃ হাবিব ওসমান, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ শহরের কিছু রাস্তা ভাল হলেও অধিকাংশ রাস্তার অবস্থায় খুবই নাজুক। পৌর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তার ফ্লাট সোলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় রাস্তার ইট উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জনদূর্ভোগ চরমে। আবার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পৌরবাসীর দাবী জনতার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পৌর পিতা দ্রæত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

কালীগঞ্জ পৌরবাসীর শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলেও বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেশ কিছু জনকল্যানকর কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ড থেকে বাজার রোডের পুরাতন ব্রীজ পর্যন্ত ড্রেন, ড্রেনের দু’পাশের ফুটপাতে মানুষের চলাচলের টাইলস করা, পৌর পিলখানার কাজ চলমান, বর্জ্য ফেলার জন্য পৌর এলাকার চাচড়ার গ্রামের মাঠে ০০০০শতক জমি ক্রয়, বাজার রোড সহ ওয়ার্ড পর্যায়ে লাইট পোষ্টে আলোকসজ্জা, সোলার বাতি স্থাপনম বিভিন্ন গোরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়ন, পৌর শহরের কিছু সড়কে পিচকরণ, রাস্তা টেকসই করতে ভারী যানবাহন চলাচল ঠেকাতে মেইন ষ্ট্যান্ডর বাজার রোড়ের প্রবেশদার সহ বেশ কয়েকটা সড়কের প্রবেশদারে বিশেষ পোষ্টের ব্যবস্থা, প্রয়াত মেয়র মকছেদ আলী বিশ্বাসের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা, শহর পরিস্কার করতে বিশেষ কর্মসূচী, মাদক প্রতিরোধেসহ বেশ কিছু কল্যানকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

পৌর মেয়রের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মুখে আলোচনা থাকলেও পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন দাবী জানিয়েছেন পৌরবাসী। পৌর এলাকার কিছু রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় বেশীর নাগরিকই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার ফ্লাট সোলিং অনেক আগেই উঠে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ফ্লাট সোলিং রাস্তার মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলো তার প্রকৃত অস্তিত্ব হারিয়েছে। পৌর এলাকার অনেক রাস্তায় বর্ষা মওসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশেষ করে কোটচাঁদপুর রোডের বিহারী মোড়সহ পৌরসভার সামনের রাস্তা, কলেজ রোড, কলাহাটার মোড়, নলডাঙ্গা রোডের হাটচাদনীর সামনে, নিমতলা থেকে থানা রোড, ফয়রা গ্রামের মধ্য দিয়া হাসপাতাল রোড, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে বলিদাপাড়ার মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ভূষন রোড থেকে নিশ্চিন্তপুরের মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে ভূষন রোডের খালধার বাইপাস সড়ক, নলডাঙ্গা রোড থেকে কোলা রোডের লাটা ষ্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশ কিছু রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

খোদ ৭ নম্বার ওয়ার্ড মোক্তার হোসেন কাউন্সিলরের বাড়ীর সামনের বিহারী মোড় থেকে দরগা রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগীই নয়, সেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়।

তিনি বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় থাকলেও পৌরসভায় আর্থিক সঙ্কটের কারণে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। তবে পৌর মেয়র সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন দ্রæত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে পৌর এলাকার সব রাস্তার উন্নয়ন শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। তাদের দাবী জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোট নিলেও বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন পৌর এলাকায় হয়নি।

কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, পৌর এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার জন্য আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর অনেক উন্নয়নমুল কাজ করেছি সেগুলো এখন দৃশ্যমান। খুব শিগগিরই রাস্তা ঘাটের কাজ শুরু করা হবে। কোন রাস্তা বাকী থাকবে না। মেইন মেইন সব রাস্তার টেন্ডার হয়েগেছে বৃষ্টি একটু কমলেই কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button