সূর্য্যপূরী বালিয়াডাঙ্গী আমগাছ
ঝিনাইদহের চোখঃ
আম ফলটি পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো নেই। আমরা সবাই কিন্তু আম দেখেই সন্তুষ্ট। আমের গাছটি দেখার আগ্রহ আমাদের মধ্যে তেমন একটা দেখা যায় না। তবে দেখার মতো একটি আম গাছ হচ্ছে সূর্য্যপূরী বালিয়াডাঙ্গী আমগাছ। এই গাছটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় হরিণমারি অবস্থিত।
এই সূর্যপুরী আম গাছটিকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় আমগাছ বলা হয়ে থাকে। গাছটি ছায়া দেয় অনেক জায়গাজুড়ে। স্থানীয়রা কেউ বলেন, এটির বয়স ১৫০ বছর; আবার কেউ বলেন ২৫০ বছর। তবে এলাকার বায়োজোষ্ঠ্যরাও গাছটির বয়স কত তা সঠিকভাবে বলতে পারেন না। তারা বলেন কোন সময় আমগাছটি লাগানো হয়েছে তা তাদের জানা নেই। প্রাচীন এই গাছটি সম্পর্কে তারা জেনেছেন তাদের বাপ-দাদার কাছ থেকে। গাছটির বয়স ২০০ বছরের অধিক বলে এলাকাবাসীর ধারণা। এ ব্যাপারে কোনো সরকারি বা বেসরকারি গবেষণা হয়নি।
গাছটির শাখা-প্রশাখাগুলো মাটির দিকে ঝুঁকে গেছে। একে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি গাছ; মনে হয় যেন একটি বিশাল আমের বাগান। বিশাল আকৃতির আমগাছটি প্রায় আড়াই বিঘা জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে। বৃদ্ধ গাছটি থেকে মাটিতে নেমে এসেছে অনেক মোটা মোটা ডাল, প্রত্যেকটি ডাল যেন ভিন্ন ভিন্ন আমগাছ। মোট মত উনিশটি ডালপালা বিস্তার করেছে এই গাছটি। এই আম গাছটির উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট।
প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ নানান জায়গা থেকে এই গাছটি দেখতে ছুটে আসে। গাছটি দেখার জন্য দশ টাকার টিকেট কাটতে হয়। গাছটির বর্তমান মালিকের নাম নুর ইসলাম। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে এর মালিক হয়েছেন। গাছটি লাগিয়েছিলেন নুর ইসলাম এর বাবার দাদা। প্রতি বছর গাছটিতে প্রচুর আম হয়, আর অন্যান্য গাছের আমের চেয়ে এই গাছের আমের দাম অনেক বেশি।
যেভাবে যাবেন:
ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী। ঢাকা থেকে প্রথমে বাসে ঠাকুরগাঁও যেতে হবে তারপর ঠাকুরগাঁও থেকে লোকাল বাসে ২৫ কিলোমিটার দূরে বালিয়াডাঙ্গি তারপর সেখান থেকে স্থানীয় যানবাহনে করে ১০ কিলোমিটার দূরে হরিণমারি পৌঁছে যাবেন।