ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

খুঁড়িয়ে চলছে ঝিনাইদহের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট

ঝিনাইদহের চোখঃ

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই খুঁড়িয়ে চলছে ঝিনাইদহের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। মাত্র একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ঝিনাইদহ, যশোর ও মাগুরা জেলার মাটি পরীক্ষার কাজ। ফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে তেমন কোন সুফল পাচ্ছেন না চাষীরা। দ্রুত শূণ্যপদ পূরনসহ নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সচল করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

২০০৬ সালে ঝিনাইদহের মুরারীদহ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত মাত্র একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ মোট ৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারি দিয়েই চলছে আঞ্চলিক এ গবেষণাগার। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা মূল লক্ষ্য হলেও, লোকবল সঙ্কটে তা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ঝিনাইদহ, যশোর ও মাগুরা জেলার চাষীরা।

সাধারণত মাটির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার করে রিপোর্ট দিতে সময় লাগে প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন। তবে, এই গবেষণাগারে সময় লাগছে ২০ থেকে ২৫ দিন। মৌসুম শেষে পরের মৌসুমে ফসল উৎপাদনের আগে মাটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় বেশী লাগায়, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের চাষীদের। এছাড়া, কাজের ধীরগতিতে মাটি পরীক্ষার আগ্রহও হারাচ্ছেন তারা।

তবে লোকবল সঙ্কট দূর হলে পূর্ণ সেবা দেয়া সম্ভব বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম।

চলতি বছর এই প্রতিষ্ঠানে এক হাজারেরও বেশী মাটির নমুনা জমা পড়লেও, রিপোর্ট দেয়া হয়েছে মাত্র অর্ধেক। দ্রুত শূণ্যপদ পূরন করে নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সচল করে চাষীদের কল্যানে এগিয়ে আসার দাবি এলাকাবাসির।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button