কোটচাঁদপুরটপ লিডনির্বাচন ও রাজনীতি

ঝিনাইদহ-৩ আসনে চ্যালেঞ্জের মুখে আ:লীগ প্রার্থী চঞ্চল

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি সফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল। দলীয় মনোনয়নের সময় কোটচাঁদপুর-মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ একজোট হয়ে চঞ্চলের প্রার্থী না করার জন্য দলীয় সভানেত্রীর কাছে লিখিত অনুরোধ করেন। কিন্তু দলীয় সভানেত্রী সেইসবের তোয়াক্কা না করেই চ্যালেঞ্জ হিসাবে দলীয় মনোনয়ন তুলে দেন চঞ্চলের হাতে।

মনোনয়ন বঞ্চিত হন বর্তমান এমপি নবী নেওয়াজ ও সাবেক এমপি পারভীন তালুকদার মায়া। চুড়ান্ত মনোনয়নের অপেক্ষা করতে থাকেন তারা দুজন। কিন্ত শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হন। দলীয় সভানেত্রী তাদেরকে চঞ্চলের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তারা দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করা শুরু করেছেন। তবে এই আসন বরাবরই বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। একাধিক বার এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছে। সেই দিক বিবেচনা করলে চঞ্চলকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

কারন শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীর তার পক্ষে কাজ করবে কিনা তা সন্দেহ রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান। এদিকে, বিএনপির প্রার্থীদের টেক্কা দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে এই আসনের মনোনয়ন ছিনিয়ে নেন জামায়াতের অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ইতিমধ্যে দলত্যাগ করেছেন কন্ঠশিল্লী মনির খান। আরো দু’জন প্রার্থী সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল দলীয় সিন্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মতিউর রহমান মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকে তার নামে একে একে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি বাদ যাননি তার স্ত্রী নাজমা রহমান। তাকেও নাশকতার মামলার আসামি করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে তিনি এখানো পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে নামতে পারেনি। তিনি শেষ করবেন তা নিয়ে দুচিন্তায় পড়ে গেছেন বলে জানা গেছে। ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কি হয় তা নিয়ে এই আসনে সাধারন ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা কৌতুহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button