জানা-অজানাঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জিডি, ভেরিফিকেশন করতে টাকা লাগে না- এসপি

খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে কমেছে চুরি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদসহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। সেই সাথে বেড়েছে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা। বর্তমান পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান (পিপিএম) এর জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলাবাসী হয়রানিমুক্ত সেবা পাচ্ছেন। কোনপ্রকার হয়রানি ছাড়াই নাগরিক সেবা পাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন মো: হাসানুজ্জামান। যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও পুলিশের গ্রেফতারি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেন। তার নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত ও সন্ত্রাস। সব থেকে সুবিধা পাচ্ছেন অসহায় নির্যাতিত মানুষগুলো। যাদের জন্য সবসময় খোলা থাকে পুলিশ সুপারের দরজা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেন, আমি একটি বিপদে পড়ে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মনোযোগ সহকারে আমার অভিযোগ শুনেছেন এবং আমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, বর্তমানে যে পুলিশ সুপার আছেন তিনি বদলি হয়ে গেলে মানুষ বুঝতে পারবেন তিনি কত ভালো মানুষ ছিলেন।

সদর উপজেলার নৃসিংহপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন পুর্বেও জেলায় পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ছিল। কিন্তু বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে পুলিশের সেই অপরাধ প্রবণতা কমেছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। বর্তমানে কোন থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জিডি, ভেরিফিকেশন, মামলা দায়ের করতে টাকা লাগে না।
মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, জেলা আগে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে সেই সমস্যা দুর হয়েছে। জেলাবাসী এখন সুবিচার পাচ্ছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে জেলার সকল রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচী পালনে সমান অধিকার পাচ্ছে।

সৎ ও যোগ্য এই পুলিশ কর্মকর্তা শুধু শহরেই নয়, গ্রামের মানুষের কাছেও তিনি সমান প্রিয় ব্যাক্তিত্ব। সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন বলেন, গত কোরবানীর ঈদে তিনি বেতনের টাকা দিয়ে গরু ও ছাগল কিনেছিলেন। সেসময় তিনি বলেছিলেন, সৎভাবে আয় করা টাকার যতটুকু সম্ভব সেই টাকা দিয়ে গরু ছাগল কিনেছি। অত্যন্ত সততার সাথে পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন পুলিশের ওপর মানুষের একটা আস্থা বিশ্বাসও ফিরে এসেছে, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান (পিপিএম) বলেন, জনগণের সেবাই পুলিশের ধর্ম। আমি চেষ্টা করি মানুষের বন্ধু হিসেবে থেকে তাদের সেবা করতে, তবে অপরাধীদের নয়। তিনি বলেন, জেলার মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। কোন বিপদে পড়লে, কোন পুলিশ হয়রানি করলে, পুলিশি সেবা পেতে অর্থ চাইলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি ব্যবস্থা নিব। সর্বশেষ জেলাকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীমুক্ত গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button