অন্যান্য

‘মি টু’র পর এবার ‘কু টু’তে সরব ২০ হাজার নারী

ঝিনাইদহের চোখঃ

যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে একজোট হয়ে ‘মি টু’-তে শামিল হয়েছিলেন বিশ্বের হাজার হাজার নারী। একের পর এক অভিযোগে রীতিমতো তোলপাড় হয় বিভিন্ন মহল। বিতর্কে নাম জড়ায় বহু বিশিষ্ট ও বিখ্যাত ব্যক্তির।

এ বার ‘মি টু’-র মতোই অন্য একটি আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি নারী। এ প্রতিবাদের নাম হ্যাশ ‘কু টু’ (#KuToo)।

‘কু টু’নামের এ প্রতিবাদ আসলে হাইহিল পরে অফিসে আসার অলিখিত ‘বাধ্যতামূলক’ নিয়মের বিরুদ্ধে। আর এ হ্যাশ কু টুতে শামিল হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি জাপানী নারী। ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন এ প্রতিবাদকে।

কাজের জায়গায় পোশাক বিধিতে নারীদের হাইহিল পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, জাপানের বেশির ভাগ কর্পোরেট সংস্থায়। আর এ ‘ড্রেস কোড’-এর ঠেলায় নিয়মিত হাই হিল জুতো পরে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অসংখ্য নারী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হিল পরার ফলে গোড়ালি, হাঁটু, পিঠ বা মেরুদণ্ডের নানা সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। কাজের জায়গায় পুরুষদের জুতা নিয়ে যখন কোনও বিধি-নিষেধ নেই, তাহলে নারীদের হাইহিল পরা বাধ্যতামূলক হবে কেন? কাজের জায়গায় এ লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন হাজার হাজার নারী।

কাজের জায়গায় হাইহিল পরা এবং তার জন্য নানা শরীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন জাপানের এক লেখিকা, ইউমি ইশিকাওয়া। নিজের অনলাইন পিটিশনে তিনি লিখেছেন, কত ক্ষণে কাজ শেষ হবে আর পা থেকে হাইহিল জুতা খোলা যাবে, এ অপেক্ষাতেই থাকেন সকলে (নারীরা)।

টুইট করে ইশিকাওয়া জানান, যখন তিনি চাকরি করতেন, তাকেও তখন হাইহিল পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। আর সে অভিজ্ঞতা ছিল অত্যন্ত অস্বস্তিকর।

ইশিকাওয়ার এ টুইট ৩০ হাজারেরও বেশি শেয়ার হয়। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #KuToo রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

জাপানী শব্দ কুৎসু-র অর্থ হল জুতা। আবার কুৎসু শব্দটির আরেকটি অর্থ ব্যথা, যদিও এর বানান ভিন্ন। #KuToo-তে শামিল হওয়া নারীদের দাবি, জুতার সঙ্গে কাজের কী সম্পর্ক! কাজের জন্য হাইহিলের জুতা পরা বাধ্যামূলক করা একেবারেই উচিত নয়। তবে নারীদের এ প্রতিবাদ এখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নেই। আগুনের আঁচ লেগেছে জাপানের বিভিন্ন সরকারি মহলেও। ইতোমধ্যেই জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button