জানা-অজানাটপ লিড

ঝিনাইদহে জমে উঠেছে “কৃষি শ্রমিক” কেনা বেচার হাট

মাজেদ রেজা বাঁধন, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলায় জমে ওঠেছে ধান কাটার জন্য শ্রম বিক্রির বাজার।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে একটু আগে থেকেই ঝিনাইদহের কৃষকদের কাটতে হচ্ছে রোপা আমন ধান। কারেন্ট পোকার আক্রমণ ছাড়াও কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি এবং বাতাসের প্রভাবে পাকার আগ মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে ধান। এতে ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে কৃষকদের। তবে যে যত তাড়াতাড়ি ধান কাটতে পারবে তার ক্ষতির পরিমান তত কম হবে। এই বিশ্বাস থেকে ঝিনাইদহের কৃষকেরা একটু কাঁচা থাকতেই কাটতে শুরু করেছে তাদের আমন ধান।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ব্যাগ পুটলা নিয়ে প্রচুর “কৃষি শ্রমিক” এসেছে ঝিনাইদহ হাটে নিজেকে কামলা হিসাবে শ্রম বিক্রি করতে। চলছে দরকষাকষি কৃষক ও শত শত কামলাদের মধ্যে।

জানা যায়, বাড়িতে নিয়ে যাওয়া খরচ, থাকা, খাওয়া, হাত খরচ ছাড়াও প্রতিজন মোট দিন প্রতি নগদ ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা হারে বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেকে আবার বিঘা প্রতি ৪৫০০/ ৫০০০ টাকা হারে ধান কেটে দেওয়ার চুক্তিতে কৃষকের বাড়িতে যেতে দেখা যায়।

জেলার মহেশপুর উপজেলার সামান্তা বর্ডার এলাকা থেকে আসা কামলা বাবুল আক্তার জানায় আমি প্রত্যেক বছর এই ধান কাটার মৌসুমে এই হাটে বিক্রি হই। মাস খানেক কাজ করে বেশ কিছু টাকা আয় করে নিয়ে যাই। যার ফলে একসাথে কিছু টাকার মুখ দেখতে পাই।

একই এলাকার কাজল মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় অভাবি মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই কৃষি শ্রমিকরে দাম কম। আগে বর্ডারে কাজ কাম ছিলো কিন্তু এখন বর্ডার একেবারেই সিলগালা। বর্ডারের কাম কাজ করার কোন উপায় নাই । তাই আমাদের এলাকা থেকে অনেকেই ঝিনাইদহের হাটে বিক্রি হতে এসেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button