কোটচাঁদপুর

ঝিনাইদহে শ্যালকের বিরুদ্ধে ভগ্নিপতির মামলা

সুমন মালাকার—

বৃদ্ধা শ্বাশুড়ীর অর্থ হাতিয়ে নিতে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিক শ্যালকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগের পর এবার আদালতে টাকা ছিনতাইয়ের মিথ্যে মামলা করেছেন আপন ভগ্নীপতি। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বড় বামনদহ গ্রামের। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে শ্যালককে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকিও দিচ্ছে দাবী ওই শ্যালকের।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর পৌরসভার বড়বামনদহ গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিনের স্ত্রী আবেজান বেগম। সংসার জীবন তাঁর ছিল ৫ মেয়ে ৪ ছেলে। গেল ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর বার্ধক্য জনিত কারনে মারা যান তাঁর স্বামী দলিল উদ্দিন। এ সময় শরিক ভাই বোনদের মধ্যে চলে জমি নিয়ে ভাগাভাগি। শরিকরা তাদের পাওনা জমি বিক্রি করে নিয়ে যায়। পাপ্য অনুযায়ী ১ লাখ টাকা পান আবেজান বেগম। যা তিনি ছোট ছেলে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাব কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক আজিজুল হক ঠান্ডুর কাছে গচ্ছিত রাখেন। এ থেকে তিনি তার চিকিৎসা ও খরচের জন্য ব্যয় করেন।

আর এ টাকা নিয়েই বাধে যত বিপত্তি শরিকদের মধ্যে। এ টাকা চাইতে এসে সম্প্রতি বাক-বিতন্ডা বাধে ওই শ্যালকের সাথে ছোট বোনাই শফিকুল ইসলামের। টাকা হাতাতে না পেরে তিনি ছোট শ্যালক সাংবাদিক আজিজুল হক ঠান্ডুর বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগও করেছেন। যার কোন সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না।

কথা হয় আজিজুলের মা আবেজান বেগমের সঙ্গে তিনি বলেন, ছোট জামাই শফিকুল টাকার জন্য আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করছিল। এ সময় ছোট ছেলে আজিজুল তাকে বাধা দিলে শুরু হয় দুজনের বাক-বিতন্ডা। আর এই টাকার জন্য আমার ছেলে মেয়েজামইরা এমনকি নাতি নাতনিরাও বলে ঐ টাকা আমাদের সকলকে ভাগ করে দাও। প্রায় ২ মাস আগেও আমাকে মেজ ছেলে আব্দুল হাই ও মেজ ছেলের বউ তাসলিমা মারধর করে গুরুতর আহত করে। আমি সব সন্তানদের কাছে বিচার দাবি করেও কোন ফল পাইনি। আর আদালতের মামলার ব্যাপারে বলেন, ঐদিন আমার ছোট মেয়ের জামাই শফিকুলের কাছ থেকে কোন টাকা আমার ছোট ছেলে ছিনিয়ে নেওয়া তো দূরে থাক তার গায়ে পর্যন্ত হাতও দেয়নি। বরং আমার জামাই ছোট ছেলেকে ধাক্কা মারতে মারতে ফেলে দেয়। তখন সে গোয়াল ঘরে পড়ে গিয়ে তার ডান পায়ে ও বাম হাতের আঙ্গুলে আঘাত পায়। আর এই আঘাতের ফলে চার-পাঁচ দিন সে খুড়িয়ে হাটে। এবং এই ঘটনায় যারা স্বাক্ষী দিয়েছেন আমার সেজ মেয়ে যার বাড়ি যশোর তেঘোরী। মেজ ছেলে, সেজ ছেলে, মেজ বৌমা কেহই ঘটনার সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলো না। এটা তাদের চক্রান্ত আমার টাকা কয়ডা হাতানোর।
প্রত্যক্ষদর্শী মৃত মতলেবের ছেলে তোফাজ্জেল ও প্রতিবেশী বাবুল হোসেন জানান, টাকা ছিনতাইয়ের মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। বরং তার ভগ্নিপতি শরিফুল তাকে মারধর করতে উদ্ধত হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা মারতে মারতে গোয়াল ঘরে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় যারা স্বাক্ষী দিয়েছে তারা কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলো না।

এব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ঘটনার বিষয়টি আমি তদন্ত করে সবাইকে ডেকে মিমাংসা করবো। এটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button