ঝিনাইদহ সদর

শিশু সন্তান করে দিল বাবার রুজি-রুটি

#আসিফ ইকবাল কাজল, ঝিনাইদহের চোখঃ

চোখে জন্মগত ছানি নিয়ে ভুমিষ্ট হওয়া ৬ মাসের আসিফকে নিয়ে তার দরিদ্র পিতা মাতার যখন দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না, ঠিক তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকায় শিশু আসিফের চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

সংবাদ প্রকাশের পর দেশ বিদেশের দানশীল ব্যক্তিরা শিশু আসিফের চিকিৎসার জন্য সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দেন। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে অকাতরে দান করতে থাকেন আসিফের পিতা ওলিয়ার রহমানের বিকাশ নাম্বারে।

এক পর্যায়ে ১৫/২০ দিনের মধ্যে শিশু আসিফের চিকিৎসার টাকা জোগাড় হয়ে যায়। চার বার ঢাকায় যাতায়াত, থাকা খাওয়া ও অপারেশনের ওষুধ কেনার পর লক্ষাধিক টাকা অবশিষ্ট থাকে। সেই টাকা দিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া বাজার থেকে দুইটি গরু কেনা হয়েছে।

আসিফের নানা খায়রুল ইসলাম জানান, দুইটি গরু ৯৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। উল্লেখ্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে শিশু আসিফের ফ্রি অপারেশন করা হয়। শিশু আসিফ কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের অলিয়ার রহমান ও রত্মা খাতুন দাম্পতির ছেলে। থাকেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটী মাঠপাড়ার একটি বস্তিতে।

আসিফের পিতা দিনমজুর অলিয়ার রহমান জানান, কাজের সন্ধানে ৯ মাস হলো তারা গ্রাম ছেড়ে ঝিনাইদহ শহরে এসেছেন। এখানে এসে তিনি লেবারের কাজ করেন। জন্মের ৫ মাস পর তারা ছেলে আসিফের চোখে জন্মগত ছানি ধরা পড়ে।

আসিফের দুই চোখেই অপারেশ শেষ হয়েছে। সে এখন দেখতে পারছে বলে মনে করেন তার মা রত্না বেগম। রত্না বেগম, যারা তার ছেলের চিকিৎসার জন্য দান করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকদের উসিলায় আজ আমার আসিফ নিজে দেখতে পারছে। সেই সাথে আমাদেরও আয়ের পথ দেখালো।

“জাগো মানবতা” নিয়ে কাজ করা ঢাকার তরুন সাংবাদিক মাহবুর আলম সোহাগ ও ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল শিশু আসিফের লাইম লাইটে আনতে মুখ্য ভুমিকা রাখেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button