সাক্ষাৎকার

সফলতা দেখে যেতে পারলেন না বাবা–ঝিনাইদহের ছেলে সোহেল মেহেদী

#ঝিনাইদহের চোখঃ

বন্ধুদের সাফল্যে সবসময়ই গর্ববোধ করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সোহেল মেহেদী। গেলো ২৩ জুন জগন্নাথ কলেজের তার প্রিয় বন্ধু রুমার সঙ্গে দেখা হলো অনেকদিন পর। রুমা আজ একজন সফল ব্যবসায়ী। রামপুরার ইস্টার্ণ বনবিথী শপিং কমপ্লেক্স-এ রুমা’স শপ নামে সোহেল মেহেদীর বন্ধু রুমার একটি শপ রয়েছে। সেখানেই সেদিন তিনি তার সহধর্মিনীর জন্য পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন। নিজের ফেসবুক ওয়ালে বন্ধুর সাফল্য গাঁথা কয়েকটি বাক্যে সবার সাথে তা শেয়ার করেন।

গানের ভুবনে সফল সোহেল মেহেদী নতুন নতুন গান নিয়ে শিগগিরই শ্রোতা দর্শকের মধ্যে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে জামাল হোসেনের কথায়, অভি আকাশের সুরে এবং রেজওয়ান শেখ’র সঙ্গীতায়োজনে পাখি শিরোনামের একটি গানে কন্ঠ দিয়েছেন। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা। শিগগিরই গানটি রঙ্গন মিউজিক’র ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে বলে জানান সোহেল মেহেদী। সোহেল মেহেদী বলেন,‘ জামাল ভাইয়ের কথা এক কথায় অসাধারণ। পাখি গানটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। গানের কথা, সুর এবং সঙ্গীতায়োজন শ্রোতা দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। ধন্যবাদ জামাল ভাইকে রঙ্গন মিউজিক’র ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আমার এই গানটি প্রকাশের উদ্যোগ নেবার জন্য। রঙ্গন মিউজিক’র জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

এদিকে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের সঙ্গে এনটিভির ‘স্বর্ণালী স্মৃতি’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছেন। অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন হৈমন্তী রক্ষিত। এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সোহেল মেহেদী বলেন,‘ এনটিভির এই অনুষ্ঠানটি আমার কাছে স্মরণীয় একটি অনুষ্ঠান। কারণ এই অনুষ্ঠানে আমি পেয়েছি শ্রদ্ধেয় আঁখি আপাকে, যাকে আমি বড় বোন হিসেবেই মেনে আসছি পরিচয়ের শুরু থেকে। তিনিও আমাকে খুউব স্নেহ করেন। অন্যদিকে আমার সহশিল্পী ছিলো আমার আরেক ছোট বোন হৈমন্তী। দুই বোনকে একসঙ্গে একই অনুষ্ঠানে পেয়ে গেলো মঙ্গলবারটি ছিলো আমার কাছে খুউব স্মরনীয় একটি দিন।

এদিকে ‘সাচি নূরের প্রেম’ টেলিফিল্মে জামাল পাটোয়ারীর কথায়, ফিরোজ প্লাবনের সুর সঙ্গীতে একটি গানে কন্ঠ দিলেন সোহেল মেহেদী। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে আছেন অশ্রু। গেলো ২১ জুন কুমিল্লার সংসদ সদস্য আ কম ম বাহাউদ্দিন বাহারের নিমন্ত্রণে কুমিল্লা ক্লাবে টানা চল্লিশটি গান পরিবেশন করেন সোহেল মেহেদী। সোহেল মেহেদীর বাবা ২০০৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। বাবাকে নিয়ে তার একটাই দু:খ।

সোহেল মেহেদী বলেন,‘ যখন বাবা ছিলেন তখন বুঝিনি মাথার উপর কত বড় ছায়া ছিলো। একটাই দুঃখ আমার সফলতা বাবা দেখে যেতে পারলেন না। তিনি চেয়েছিলেন আমি চাকরী করি। নিজে যেহেতু চাকরীজিবী ছিলেন। তাই আমাকেও সেইরূপে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন গানটা পাশাপাশি করি। ফুলটাইম মিউজিক করা তার পছন্দ ছিলো না। বাবা ফুলটাইম মিউজিক করে তোমার ছেলে অনেক ভালো আছে। আমি জানি তুমি সব দেখছো এবং মুচকি মুচকি হাসছো আমার সফলতা দেখে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button