কোটচাঁদপুর

মেম্বারের দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

কাজী মৃদুল, ঝিনাইদহের চোখঃ

অবশেষে ঝিনাইদহের চোখে প্রকাশিত কোটচাঁদপুরের আয়ুব মেম্বারের দুর্নীতির সংবাদ উপজেলা প্রশাসনের তদন্তে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১ নম্বর সাবদালপুর ইউনিয়নের মেম্বার আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও রাস্তা নির্মাণের কথা বলে টাকা হাতানোর গুরুতর অভিযোগের সংবাদ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অভিযুক্ত আয়ুব মেম্বারও চটে যান অভিযোগকারীদের ওপর। অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়াও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখার হুমকি প্রদর্শন করেন তিনি।

পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ আয়ুব মেম্বারকে বাঁচাতে এবং তদন্ত যাতে না হয় সে জন্য খোদ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী নাছির চেষ্টা অব্যহত রেখেছিলেন। চেয়ারম্যান নওশের আলী নাছির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানাসহ বিভিন্ন জনের কাছে আয়ুব মেম্বার একজন ‘দুধে ধোয়া তুলসী পাতা’ এবং তিনি দুর্নীতি করতে পারেন না- এমন কথা একাধিকবার বোঝাতে চেয়েছেন। তবে তাতে কাজ হয়নি।

প্রসঙ্গত, উপজেলার সাফদালপুর ইউপির লক্ষ্মীকুণ্ডু গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আয়ুব মেম্বারের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও রাস্তা নির্মাণের কথা বলে টাকা হাতানোর মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ আসে। কিন্তু অভিযোগকারীরা আয়ুব মেম্বারের ভয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে তা জানাতে সাহস পাননি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে কালের কণ্ঠে পাঠান। যা ২০ মার্চ অনলাইন সংস্করণে এবং ২১ মার্চ প্রিয় দেশ পাতায় অভিযুক্ত আয়ুব মেম্বারের ছবিসহ প্রকাশিত হয়।

রিপোর্টটি প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এ অভিযোগের সত্যতা জানতে উপজেলা প্রশাসন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানাকে নিয়ে ২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে তদন্তের ভার দেন। ওই কমিটি এরই মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের রিপোর্ট উপজেলা অফিসে জমা দিয়েছে।

সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আয়ুব মেম্বারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন এরই মধ্যে ইউএনও অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা ছুটিতে থাকায় এখনও তদন্ত প্রতিবেদনটি তাঁর হাতে পৌঁছায়নি বলে জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button