ধর্ম ও জীবন

রাগ দমনকারীর মর্যাদা

ঝিনাইদহের চোখঃ

রাগ দমন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। রাগ মানুষকে জাহান্নামের ইন্ধন বানিয়ে ফেলে। কুরআন হাদিসে রাগ দমনের ব্যাপারে অসংখ্য নির্দেশ এসেছে। হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি কে? জবাবে আল্লাহ বলেছিলেন, ঐ ব্যক্তি, যে (রাগের সময়) প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও ক্ষমা করে দেয়।’ রাগ দমনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ তুলে ধরা হলো-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَوْصِنِي. قَالَ: لَا تَغْضَبْ، فَرَدَّدَ مِرَارًا، قَالَ: لَا تَغْضَبْ” . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ:

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘রাগ করো না।’ লোকটি বার বার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উপেদশ চায় আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রাগ করো না।’ (বুখারি)

যেহেতু রাগ দমন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আর যে ব্যক্তি তা করতে সক্ষম হবে সেই দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব। রাগ দমনকারীদের প্রশংসায় আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, (তারাই মহসিন বা সৎকর্মশীল) বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। (সুরা ইমরান : আয়াত ১৩৪)

রাগের সময় মানুষ এমন কথা বলে ও এমন কাজ করে যার কারণে তার অন্তরে পরবর্তীতে অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং সে লজ্জিত হয়। এমনকি রাগের কারণে অন্তর হতে পবিত্র ঈমান দূরীভূত হয়ে যায়।

সুতরাং রাগকে দমন করাই হবে নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম জিহাদ। তাইতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে মানুষকে ধরাশায়ী করে ফেলে। বরং শক্তিশালী ওই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজের নফসকে সংযত করতে সক্ষম।’ আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানব জাতিকে রাগ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে ধীরস্থিরভাবে কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button